অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা এটি। মঙ্গলবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সোমবার রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি মসজিদেও বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েল বলেছে, তারা অবরুদ্ধ উপত্যকায় রাতভর হামলায় কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তবে ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে চলমান যুদ্ধে তাদের দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস-শাসিত এই উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬০ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৭০৪ জন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর পর গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি মৃত্যু।
হামাসের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাসের সাথে যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ইসরায়েল সফর করেছেন। মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন। এ সময় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন ও সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, সোমবার হামাসের যোদ্ধারা তাদের হাতে জিম্মি দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্ত করে দিয়েছে। এ নিয়ে মোট চারজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকেই হামাস ২০০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশিকে জিম্মি করেছে।