ঢাকা    শনিবার, ১৪ ফাল্গুন, ১৪২৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ফটো গ্যালারি
  • ভিডিও গ্যালারি
  • সবখবর
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • ময়মনসিংহ
    • খুলনা
    • সিলেট
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • চট্টগ্রাম
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • প্রযুক্তি
  • রঙ্গমঞ্চ
  • শিক্ষাঙ্গণ
  • বিশেষ নিবন্ধ
  • আরও
    • ভিডিও
    • রকমারি
    • সম্পাদকীয়
    • ইতিহাসের এই দিনে
    • স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস
    • হাস্যরস
    • ছবির বাসা
    • আর্টস ও লাইফস্টাইল
    • কবিতা ও গান
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • ময়মনসিংহ
    • খুলনা
    • সিলেট
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • চট্টগ্রাম
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • প্রযুক্তি
  • রঙ্গমঞ্চ
  • শিক্ষাঙ্গণ
  • বিশেষ নিবন্ধ
  • আরও
    • ভিডিও
    • রকমারি
    • সম্পাদকীয়
    • ইতিহাসের এই দিনে
    • স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস
    • হাস্যরস
    • ছবির বাসা
    • আর্টস ও লাইফস্টাইল
    • কবিতা ও গান
দৈনিক বজ্রশক্তি
No Result
View All Result
ফ্রন্টপেজ বিশেষ নিবন্ধ

কেমন ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াত?

আগ ১৬, ২০১৮
in বিশেষ নিবন্ধ

মোহাম্মদ আসাদ আলী
আল্লাহর রসুলের আবির্ভাবের পূর্বে আরবদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বোঝাতে ঐতিহাসিকরা যেই শব্দটি ব্যবহার করেন তা হচ্ছে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’, অর্থাৎ অজ্ঞানতার যুগ। এই লেখায় আমি চেষ্টা করব তৎকালীন আইয়ামে জাহেলিয়াতের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরতে।
আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অজ্ঞানতার যুগ শব্দটি দ্বারা ধারণা হতে পারে বোধহয় আরবরা লেখাপড়া, জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদিতে পিছিয়ে ছিল বলেই তাদের যুগকে অজ্ঞানতার যুগ বলা হয়ে থাকে, কিন্তু আসলে তা নয়। এই অজ্ঞানতা হচ্ছে মূলত ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে অজ্ঞানতা, সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে অজ্ঞানতা। তৎকালীন আরব সমাজে ন্যায়-অন্যায়ের কোনো বালাই ছিল না। সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করা হতো না। শক্তিমানের মুখের কথাই ছিল আইন। অবাধে চলত অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, অনাচার, ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি, হত্যা ও রক্তপাত। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোত্রে বিভক্ত ছিল সমাজ। ছিল না সুবিন্যস্ত কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা, অবিসংবাদিত কোনো নেতৃত্ব। প্রাত্যহিক উদরপূর্তি, জৈবিক চাহিদা পূরণ বা বৈষয়িক ভোগ-বিলাস ছাড়াও মানবজীবনের যে মহিমান্বিত কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকতে পারে সেকথা যেন তারা কল্পনাও করতে পারত না। অনেকগুলো ছোট-বড় গোত্রে বিভক্ত হয়ে তারা জীবনযাপন করত, যেই গোত্রগুলোর মধ্যে না ছিল ঐক্য, না ছিল ভ্রাতৃত্ব, আর না ছিল কোনো জাতীয় চেতনা। মারামারি, কাটাকাটি, রক্তারক্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রের যুদ্ধ-সংঘাত সারা বছর লেগেই থাকত এবং তাও অতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু যত তুচ্ছ কারণেই হোক, যুদ্ধ একবার লেগে গেলে সহজে শেষ হতো না। কোনো কোনো যুদ্ধ চলত শতাব্দীকাল অবধি। যুদ্ধ-সংঘাত কত ঠুনকো বিষয়ে পরিণত হয়েছিল তার একটি নমুনা দিচ্ছি।
একবার একজন বিদেশি পথিক ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে বসুস নামের এক বৃদ্ধার অতিথি হয়। অতিথি লোকটার সঙ্গে একটি উট ছিল। সে উটটি চারণভূমিতে ছেড়ে দিয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে খাবার খেতে বসে। এদিকে উটটি কুলায়ব নামের এক ব্যক্তির বাগানে প্রবেশ করে একটি গাছের সাথে গা ঘষতে থাকে। ওই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা, উটের ঘর্ষণের ফলে ওই বাসা থেকে একটি ডিম মাটিতে পড়ে ভেঙ্গে যায়। এতে পাখিটি চিৎকার করতে লাগলে বাগানের মালিক কুলায়ব রাগান্বিত হয়ে ওঠে। সে ক্ষুব্ধ হয়ে উটটিকে শর নিক্ষেপ করে। এদিকে কুলায়বের শর নিক্ষেপ দেখে বৃদ্ধাও প্রচ- উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তার অতিথির উটকে আহত করা হয়েছে, এতে তার যে অপমান হয়েছে তার প্রতিশোধ নেবার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আকুতি জানাতে থাকে। বৃদ্ধার করুণ আর্তনাদে ব্যথিত হয়ে তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় কুলায়বের উপর হামলা করে তাকে হত্যা করলে বনু বকর ও বনু তাগলবের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং এই যুদ্ধ বংশানুক্রমে আশি বৎসর পর্যন্ত চলতে থাকে।’ (সায়্যিদ সুলায়মান নদবী রচিত ‘সীরাতুন্নবী’ গ্রন্থের ২৬৯ পৃষ্ঠা) অর্থাৎ আশি বছর ধরে যুদ্ধ চলল আর কিছু নয়, একটি পাখির ডিম ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে!
বংশানুক্রমিক এই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা-হাঙ্গামা এতই ভয়ানক আকার ধারণ করত যে, আরবরা সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্তে আসে বছরের চারটি মাস তারা রক্তপাতে জড়াবে না। এই মাসগুলো পবিত্র মাস বা নিষিদ্ধ মাস হিসেবে গণ্য হবে। এই সময়ে চরম শত্রুকেও হাতের কাছে পেলে হত্যা করা হবে না। কিন্তু রক্তের নেশা তাদেরকে এমনভাবেই পেয়ে বসেছিল যে, কয়েকবার নিষিদ্ধ মাসের নিয়মও লঙ্ঘন করে তারা যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। নিষিদ্ধ মাস লঙ্ঘন করে অনুষ্ঠিত হওয়া এই যুদ্ধগুলোকে বলা হত ফিজারের যুদ্ধ। রসুলাল্লাহর বিশ বছর বয়সে এমনই একটি ফিজারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইতিহাসে এটি ফিজার আল বারাদ নামে খ্যাত। এই যুদ্ধে রসুলাল্লাহর চাচারা তাঁকে সঙ্গে করে রণাঙ্গনে নিয়ে যেতেন। রসুলাল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীর ও বর্শাগুলো প্রতিহত করতাম এবং তা কুড়িয়ে এনে চাচাদের হাতে তুলে দিতাম।” (সিরাতে ইবনে হিশাম) আমরা রসুলাল্লাহর জীবনীতে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের যেই সংগঠন করার কথা জানতে পারি সেটা এই ফিজারের যুদ্ধের পরে, মূলত এই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে রসুলাল্লাহর তরুণ মন বেদনাবিধুর হয়ে উঠলে তিনি ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন যার লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ-রক্তপাত ইত্যাদি বন্ধ করে আরব উপদ্বীপে শান্তি কায়েম করা। এ থেকে বোঝা যায় তরুণ বয়স থেকেই আল্লাহর রসুল অন্যায় অবিচার ও যুদ্ধ-রক্তপাত নির্মূলে কতটা সোচ্চার ছিলেন।
আরবের মরুভূমি কখনই কৃষিকাজের উপযোগী ছিল না, কাজেই স্বল্প পরিসরে কিছু কৃষিকাজ হলেও অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহপালিত পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করত। আর বাকিদের জীবিকা নির্ভর করত লুটতরাজের ওপর। ডাকাতিতে সিদ্ধহস্ত হওয়াকে তৎকালীন কৃতিত্ব ও বীরত্বের পরিচয় বলে মনে করা হতো। খ্যাতনামা ডাকাতরা সভা-সমাবেশে নিজেদের লুটপাটের কাহিনী বর্ণনা করতে গৌরববোধ করত। কীভাবে নিরীহ পথিককে হত্যা করে সহায়-সম্পদ কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে তার বীরত্ব বর্ণনা করে কবিতা আবৃত্তি করা হতো। সেই কবিতা শুনে আবার লোকে বাহবাও দিত। সমাজের আরেক ব্যাধি ছিল চুরি। কেবল দরিদ্ররাই নয় ধনীরাও চুরি করত। সেই চুরির কথা বর্ণনা করে তারা আত্মগৌরব লাভ করত। কিন্তু কদাচিৎ দরিদ্র চোরের বিচার হলেও ধনীদের কোনো বিচার হতো না। চুরি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল পরবর্তীতে আরবরা যখন ইসলাম গ্রহণ করত, আল্লাহর রসুল তাদের কাছে আগেই অঙ্গীকার নিয়ে নিতেন যে, ‘তোমরা কখনও চুরি করবে না।’ ক্রমাগত দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও রক্তপাতের কারণে দয়া, মায়া, মমতা ইত্যাদি মানবীয় গুণাবলি হারিয়ে আরবদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায় নিষ্ঠুরতা, হিং¯্রতা ও উন্মত্ততা। তারা জীবিত উটের পিঠ থেকে মাংসপি- এবং দুম্বার রান থেকে চর্বিযুক্ত মাংস কেটে কেটে কাবাব তৈরি করত। যুদ্ধে বন্দিনী গর্ভবতী নারীর পেট ফেঁড়ে সন্তান বের করে হত্যা করত। যুদ্ধে নিহত শত্রুর নাক, কান, গলা ইত্যাদি কেটে লাশকে বিকৃত করত। ন্যায়-অন্যায় বোধ লুপ্ত হয়ে যাওয়ায় সমাজে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে ব্যাভিচার। ওই সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইবনে আব্বাস বলেন, ‘প্রকাশ্যভাবে ব্যাভিচার করাকে অবৈধ মনে করা হলেও গোপনে ব্যাভিচারকে তারা অন্যায় মনে করত না।’ একজনের সন্তানকে আরেক জনের সন্তান বলে চালিয়ে দেওয়া হত। ধর্ষণের পর ধর্ষক তার কুকীর্তির বর্ণনা দিয়ে কবিতা রচনা করত এবং জনসম্মুখে সেই কবিতা আবৃত্তি করে গৌরববোধ করত। নির্লজ্জতায় তারা এই পর্যন্ত পৌঁছেছিল যে, পবিত্র ক্বাবা ঘর তাওয়াফ করত নারী-পুরুষ উলঙ্গ অবস্থায়।
নারীদের দুর্ভোগের কোনো সীমা ছিল না। শিশুকাল থেকেই তারা নির্যাতনের শিকার হতো। আরবদের মধ্যে কতগুলো গোত্রে কন্যা সন্তানদের জীবিত কবর দেওয়ার রেওয়াজ চালু ছিল। তারা এই গর্হিত ও ন্যাক্কারজনক কাজটি করে রীতিমতো গর্ববোধ করত এবং একে তাদের জন্য সম্মানের প্রতীক বলে মনে করত। এছাড়া জুয়াখেলা, মাদক ইত্যাদিতে বুঁদ হয়ে থাকত তাদের যুবক শ্রেণী। প্রতিটি ঘরেই এমন কেউ না কেউ ছিলই যে মাদকের উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় বা সেবনের সাথে জড়িত ছিল। সুদের বিস্তার হয়েছিল মহামারী আকারে। গরু-ছাগলের মতো মানুষের হাট বসত, সেখানে দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয় করা হতো। দাস-দাসীদের জীবনযাপন ছিল পশুপর্যায়ের। তাদের জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, খাবারের নিশ্চয়তা ছিল না, সম্মান-মর্যাদা ছিল না। মনিবের কৃপার উপর নির্ভর করত তাদের জীবন। দাসী-বাঁদীদেরকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হতো।
সামাজিক ও রাজনৈতিক এই অধঃপতন আরবদেরকে সারা বিশ্বের সবচাইতে অবহেলিত, অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত ও ঘৃণ্য জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছিল। তৎকালীন পৃথিবীর সুপার পাওয়ার, দুই বিশ্বশক্তি রোমান ও পারস্য সা¤্রাজ্য আরবদেরকে কতটা অবজ্ঞার চোখে দেখত তা বোঝা যায় এই থেকে যে, আরবের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোমান ও পারস্য সা¤্রাজ্য বারবার যুদ্ধে লিপ্ত হলেও আরবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না, যদিও তারা চাইলেই আরবকে সরাসরি শাসন করতে পারত। আরবরা রোমান ও পারস্য সৈন্যকে যমের মত ভয় পেত। একজন রোমান সৈন্যকে দশজন আরব সৈন্যের সমান গণ্য করত।
একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, আইয়ামে জাহেলিয়াতের আরবরা আল্লাহই বিশ্বাস করত না, এজন্য তারা কাফের ছিল। এই ধারণা সর্বাংশে সত্য নয়। তৎকালীন আরবরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করত এবং আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ইত্যাদি বলে বিশ্বাস করত এই সাক্ষ্য স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন। (যখরুফ: ০৯, আনকাবুত: ৬৩) তারা বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি বানিয়ে পূজা করত এই ভেবে যে, এই দেব-দেবীগুলো আল্লাহর কাছে তাদের হয়ে সুপারিশ করবে এবং তাদের দুনিয়াবী বিভিন্ন স্বার্থ হাসিলে সহায়ক হবে। (ইউনুস: ১৮) পবিত্র ক্বাবাঘরে পর্যন্ত তারা ৩৬০টি মূর্তি ঢুকিয়ে রেখেছিল। অথচ আল্লাহ মানুষকে দৃষ্টি দিয়েছেন, বিবেক দিয়েছেন, চিন্তাশক্তি দিয়েছেন, মানুষ সেই শক্তিগুলো ব্যবহার করে নিজেরাই নিজেদের সাফল্য অর্জন করতে পারে, এজন্য কাঠ-পাথরের মূর্তির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার দরকার পড়ে না। মূর্তিপূজা এমন এক অভিশাপ যা মানুষের সৃজনশীলতাকে, গতিশীলতাকে লুপ্ত করে দেয়। মানুষকে করে দেয় স্থবির, চিন্তার দরজায় ঝুলিয়ে দেয় অন্ধত্বের তালা। তারা হাত-পা গুটিয়ে রেখে, চিন্তাশক্তিকে অন্ধত্বের কারাগারে বন্দী করে রেখে মূর্তির সামনে প্রার্থনা করেই সফলতা পেতে চায় এবং প্রকৃতির নিয়মে ব্যর্থ হয়। কারণ কাঠ পাথরের মূর্তির ক্ষমতা নেই মানুষের আবদার শোনার ও পূরণ করার, কিন্তু ধর্মের নামে আরব ধর্মব্যবসায়ীরা সেই কুসংস্কারটাই চালু করে রেখেছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবৎ এবং এইসব দেব-দেবীর নাম করে কার্যত নিজেরাই মানুষের ইলাহ বা হুকুমদাতার আসনে বসে পড়েছিল। তারা যা হুকুম দিত, যেই বিধান দিত সেটাই মানুষ অলঙ্ঘনীয় বিধান বলে গ্রহণ করে নিত। কেউই তাদের অবাধ্য হতে পারত না। অবশ্য কেউ অবাধ্য হতে চাইতও না। কারণ সাধারণ মানুষ ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিতদেরকেই ধর্মের কর্তৃপক্ষ বলে বিশ্বাস করত। ধর্মের নামে তারা যা বলত তাই মেনে চলতে প্রস্তুত থাকত। তাদের বক্তব্য কতটুকু যৌক্তিক, কতটুকু কল্যাণকর ইত্যাদি নিয়ে ভাবার অবকাশ জনগণের ছিল না। আর এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিতরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল করত। ওই জনগোষ্ঠীকে কাফের-মোশরেক বলার এটাই প্রধান কারণ যে, তাদের ইলাহ বা হুকুমদাতার আসনে আল্লাহ ছিলেন না, এই আসনটি তারা দান করেছিল তাদের ধর্মজীবী পুরোহিতদেরকে। এভাবে সকল দিক দিয়ে আরব জনগোষ্ঠীর অধঃপতন যখন চূড়ান্ত অবস্থায় উপনীত হয়েছিল, জাহেলিয়াতের অন্ধকারে পথ হারিয়ে ত্রাহি চিৎকার করছিল নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত অসহায় মানুষ, তখন আল্লাহ সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সত্যের আলোকবর্তিকা হাতে প্রেরণ করেন আখেরী নবী, বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) বিন আব্দুল্লাহকে।

আরও খবর:

এই যদি দাজ্জাল না হয় তবে দাজ্জাল কে?

এক নজরে মানবজীবন ও উম্মতে মোহাম্মদী

করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক সমস্যা ও বাংলাদেশের করণীয়

ShareTweetSharePinSendShareScanShareShareShareScanSendShareShareShare
Previous Post

নওগাঁর শিকারপুরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

Next Post

মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে চীন – পেন্টাগন

Related Posts

বিশেষ নিবন্ধ

এই যদি দাজ্জাল না হয় তবে দাজ্জাল কে?

বিশেষ নিবন্ধ

এক নজরে মানবজীবন ও উম্মতে মোহাম্মদী

বিশেষ নিবন্ধ

করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক সমস্যা ও বাংলাদেশের করণীয়

বিশেষ নিবন্ধ

চলছে মহামারি-আশঙ্কা দুর্ভিক্ষের, পরিত্রাণের উপায়

বিশেষ নিবন্ধ

আজ তারা মাগে ভিখ!

বিশেষ নিবন্ধ

সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগ

Next Post

মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে চীন - পেন্টাগন

সর্বশেষ খবর

তিস্তার বালু-চরে প্রযুক্তিগত সবজি চাষ, সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি চাষীদের

কাউনিয়ার তিস্তার চরে সবজি ক্ষেত ও গৃহহীনদের ঘর পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

নরসিংদী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুমের পথসভায় জনসমুদ্র

নরসিংদী পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুব আলম ভূঁইয়ার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

সবাই টিকা নিক, সুরক্ষিত থাকুক

জনপ্রিয় খবর

সভ্যতা বলতে কী বোঝায়?

শহীদমিনারে ফুল দেওয়া প্রসঙ্গে—রাকীব আল হাসান

ইলাহ অর্থ: যাঁর হুকুম মানতে হবে

ইলাহ ও মা’বুদের পার্থক্য -আতাহার আলী

জাতীয়
রাজনীতি
অর্থনীতি
সারাদেশ

আন্তর্জাতিক
বিবিধ
খেলাধুলা
বিনোদন

শিক্ষাঙ্গণ
টিপস এন্ড ট্রিকস
স্বাস্থ্য
মজার খবর

রেসিপি
ফিচার
মতামত
নির্বাচিত খবর

ফটো
ভিডিও
সর্বশেষ
সবখবর

ফটো
ভিডিও
সর্বশেষ
সবখবর

আমাদের সম্পর্কে     প্রাইভেসি পলিসি     সম্পাদকমণ্ডলী     যোগাযোগ      সবখবর    ফটো গ্যালারি    ভিডিও গ্যালারি

Dainik Bajroshakti is the most popular Bangla newspaper in Bangladesh. Its Presents National, Economics, Whole Country, World, Sports, Rongomonch, Rokomari etc. news and articles. is one of the popular bangla news portals. It has begun with commitment of fearless, investigative, informative and independent journalism. This online portal has started to provide real time news updates with maximum use of modern technology from 2014. Latest & breaking news of home and abroad, entertainment, lifestyle, special reports, politics, economics, culture, education, information technology, health, sports, columns and features are included in it. A genius team of Jago News has been built with a group of country’s energetic young journalists. We are trying to build a bridge with Bengalis around the world and adding a new dimension to online news portal. The home of materialistic news. A genius team of Jago News has been built with a group of country’s energetic young journalists. We are trying to build a bridge with Bengalis around the world and adding a new dimension to online news portal. The home of materialistic news.

প্রকাশক ও সম্পাদক: এস এম সামসুল হুদা।
১৩৯/১, তেজকুনী পাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ কর্তৃক মানিকগঞ্জ প্রেস, ৪৪ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হাউজ-৫৮, ব্ল­ক-বি, রোড-৩, নিকেতন, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২। ফোন: ০২-৪৭২১৮১১১, ০১৭৭৮-২৭৬৭৯৪, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ০১৬৩৪-২০৮০৩৯। ইমেইল: bajroshakti@gmail.com

Developed By Shahadat

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Copyright
  • Homepage
  • Privacy & Policy
  • Terms & Conditions
  • করোনা ভাইরাস
    • করোনা ভাইরাস আপডেট
    • করোনা ভাইরাস আপডেট তথ্য
  • প্রচ্ছদ
  • সম্পাদকমণ্ডলী
  • সর্বশেষ সবখবর
  • সারাদেশ

Developed By: Shahadat