
ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেন ও দেশটির নাগরিকদের জমি ও বাসভবন বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার রুশ কতৃপক্ষ। গত শুক্রবার ক্রিমিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ভ্লাদিমির কনস্তানতিনভ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ।
সংবাদ সম্মেলনে স্পিকার জানিয়েছেন, শিগগিরই বিক্রি করা শুরু হবে এসব সম্পত্তি। এই বিক্রির মাধ্যমে ৮১ কোটি ৫০ লাখ রুবল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৮ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা) আয় হবে বলে আশা করছে ক্রিমিয়ার প্রাদেশিক সরকার।
ইউক্রেনের রুশ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ২০১৪ সালে দেশটির কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলের পর সেখানে গণভোটের আয়োজন করে রাশিয়া। সেই গণভোটে কৃষ্ণসাগরের এই উপদ্বীপের অধিকাংশ জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দেয়।
ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানকার প্রায় ৫০০ প্লট ও বাসভবনকে জাতীয়করণ করেছিল রাশিয়া। এসব বাসভবন ও প্লট সবই ইউক্রেনীয় সরকার ও দেশটির ধনী নাগরিকদের।
জাতীয়করণকৃত এসব সম্পত্তিই এবার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিমিয়ার প্রাদেশিক সরকার।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া হারানোর পর ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল ইউক্রেন। মিনস্ক চুক্তি নামের সেই চুক্তিতে ইউক্রেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেবে কিয়েভ।
কিন্তু পরে আর সেই শর্ত মানেনি কিয়েভ; উল্টো রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়ার দখল ফিরে পেতে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য দেন দরবার শুরু করে ইউক্রেন।
এই নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ক্রিমিয়ায় বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।