রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবী তুলে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত গৃহবধু রাজিবপুর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ১০মাসের সন্তানসহ নির্যাতিত সালমা। দেখতে আসেনি স্বামীর পরিবারের কেউ।
৩ বছর যাবৎ প্রেম, তারপর বিয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে নিয়ম-নীতি মেনেই বিয়ে হয় কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বদরপুর গ্রামের ময়নাল হকের মেয়ে সালমা (২২) এবং একই উপজেলার মদনের চরের ফাঁটকপাড়া গ্রামের নয়া মিয়া ও মর্জিনার ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৫)।
তবে প্রেমের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি মমিনুলের বাবা-মা। বিয়ের পর থেকেই শশুর-শাশুরী কারনে অকারনে সালমার ওপর চালাতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গালি-গালাজ করতো প্রায় সময়ই। মাঝে মধ্যে দাবী তুলতো যৌতুকের। এ নিয়ে চরম মানসিক যন্ত্রণায় ভূক্ত সালমা বেগম। মেয়ের সুখের জন্য সালমার বাবা বছর দু’য়েক আগে এলাকার গন্যমাণ্য মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে ১ লক্ষ টাকাও দিয়েছে মমিনুলের পরিবারকে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২১ নভেম্বর মমিনুলের পরিবার আবারও যৌতুকের দাবী তুলে নির্যাতন শুরু করে। পাড়া প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে সালমাকে ঘরবন্ধী করে নানা ধরণের ভয়-ভীতি দেখায়। ২২ নভেম্বর রাতে আবারও মারপিট করে। ২৪ নভেম্বর বাবার বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকার জন্য ঘর থেকে বের করে দেয় স্বামী মমিনুল ও শাশুরী মর্জিনা বেগম।
বাবার বাড়ীতে এসে সালমা বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত রাজিবপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে বর্তমান রাজিবপুর হাসপাতালে সন্তানসহ চিকিৎসাধীনে রয়েছে। অপরদিকে সালমার পিতা বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর রাতে রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ সম্পর্কে অভিযুক্ত মমিনুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে একবার টাকা দিয়েছে। ও সব সময় খারাপ আচরণ করে। তাই চর-থাপ্পর দিছি। টাকা চাই নাই। পারিবারিক ভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হইছে। আমার বাবা-মার বিরুদ্ধে মিথ্যা কইছে। আমার বাবা মা কিছুই করে নাই।
এ বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।