করোনা ভাইরাস কী?
করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণীকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ সর্দিকাশির ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি।
কোভিড-১৯ কীভাবে ছড়ায়?
- করোনাভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়;
- শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/সর্দি/থুথু) এবং
- আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়
কখন সন্দেহ করবেন আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন?
আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে-
– চীন বা অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) ভ্রমণ করে থাকেন, অথবা
– কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন
এবং আপনার যদি-
– জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)
– কাশি
– গলাব্যথা
– শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।
আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে-
– পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার স্বার্থে একা একটি আলাদা কক্ষে থাকুন ও সর্বাবস্থায় মাস্ক ব্যবহার করুন।
– একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
– ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)
কোভিড-১৯ কি মানুষে থেকে মানুষে ছড়াতে পারে?
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ ইনফেকশন মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে;
– শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/সর্দি/থুথু) এবং
– আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে করোনা ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়
আপনি কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন?
– ঘন ঘন পরিষ্কার করুন (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)
– কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, সাথে সাথে ঢাকনা যুক্ত পাত্রে টিস্যু ফেলে দিন এবং হাত পরিস্কার করে ফেলুন
– যতদূর সম্ভব চোখে-নাকে-মুখে হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন
– আপনার যদি জ্বর/ কাশি/ শ্বাসকষ্ট থাকে তবে সুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন
– এই রোগ মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, উপদ্রুত এলাকায় ভ্রমণের সময় যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং একান্ত অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রামণের প্রাদুর্ভাব চলছে এমন দেশে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
আপনার যদি জ্বর/ কাশি/ শ্বাসকষ্ট থাকে ও আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন অথবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন তবে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন অথবা আইইডিসিয়ার হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করুন। ডাক্তারের সাথে কথা বলার সময় আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত ও সঠিক ইতিহাস উল্লেখ করুন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার কতদিনের মাঝে লক্ষন্সমূহ প্রকাশ পায়?
মানবদেহের বাইরে করোনাভাইরাস কতক্ষণ বেঁচে থাকে?
– এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায় যে নোভেলকরোনা ভাইরাসটি মানবদেহের বাইরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে বা সাধারণ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেই করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
কোভিড-১৯ এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে কি?
– আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার) দিতে হবে।
– এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
– সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ব্যবস্থা পরীক্ষাধীন, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সংক্রান্ত গবেষণা ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা করছে।
অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী?
– অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
– নোভেল করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা উচিত নয়।
– তবে, যদি কেউ কোভিড-১৯ দিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের জন্য (co-infection) অ্যান্টিবায়োটিক পেতে পারেন।
কোয়ারান্টাইন কী? আইসোলেশন কী? কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন – এর মধ্যে পার্থক্য কী?
কোয়ারান্টাইনঃ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তিদের, যারা কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়, তাদের গতিবিধি নয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ঐ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। আইসোলেশনঃ আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়। পার্থক্যঃ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে এমন সুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয় ও তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়; আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয়।
কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণাধীন সুস্থ ব্যক্তিবর্গ ঐ নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা দেখা হয়। আইসোলেশন–এর মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তি হতে যেন সুস্থ ব্যক্তিরা আক্রান্ত না হয় এ জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।
যোগাযোগ- ০১৯৯৯-৯৫৬২৯০” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513005546″ _title=”কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোড, কমলাপুর
যোগাযোগ: +৮৮০২-৫৫০০৭৪২০” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513285813″ _title=”বাংলাদেশ রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”নয়া বাজার, ইংলিশ রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: ০২-৫৭৩৯০৮৬০, ০২-৭৩৯০০৬৬” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513462640″ _title=”মহানগর জেনারেল হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”মিরপুর রোড, বড়বাগ, রোড-২, ঢাকা।
যোগাযোগ: ০২-৯০০৩০১২” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513489349″ _title=”মিরপুর মেটারনিটি হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”লালবাগ, ঢাকা।
যোগাযোগ: ০১৭২৬-৩২১১৮৯” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513507829″ _title=”কারাঙ্গীচর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”আমিনবাজার, সাভার, ঢাকা।
যোগাযোগ: ০১৭০০-০০০০০০, ০১৭১২-২৯০১০০” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513536519″ _title=”আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513556959″ _title=”জিনিজিরা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”১২৫, জুরাইন মেডিকেল রোড, জুরাইন, ঢাকা-১২০৪
যোগাযোগ: ০১৭৭৭-৭৭১৬২৫” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513572445″ _title=”সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
যোগাযোগ: ০১৮১৯-২২০২৮০” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513591228″ _title=”ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513608357″ _title=”শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল”][penci_info_box _text=”” icon_fontawesome=”fa fa-hospital-o” icon_size=”sm” title_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” title_font_size=”18px” content_fonts=”font_family:SolaimanLipi%3A|font_style:400%20regular%3A400%3Anormal” _use_line=”true” block_id=”penci_info_box-1585513624627″ _title=”জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল”]


কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার কত দিনের মধ্যে লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়?
কেউ এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
কোভিড-১৯ এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে কি?
এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার) দিতে হবে। সঠিকভাবে হাত ধোয়া ও কাশির শিষ্ঠাচার মেনে চলা এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী?
অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী। নোভেল করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে যদি কেউ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারেন।
অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করতে হবে?
পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে একা একটি আলাদা কক্ষে থাকুন ও সর্ব অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার করুন। এসময় বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকা জরুরি। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হটলাইনে ফোন করুন।
আক্রান্ত দেশ থেকে আসা বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের কী করা প্রয়োজন?
ফেরত আসা বাংলাদেশি/বিদেশি নাগরিক যদি সুস্থও থাকেন, তবুও তাকে বাংলাদেশে আগমনের দিন থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা থাকতে এবং সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলুন। উপসর্গ দেখা দিলে হটলাইনে ফোন করুন।
সামাজিক দূরত্ব কি ও কেন দরকার?
সামাজিক দূরত্ব মানে জনবহুল স্থান, সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করে চলা এবং অন্য মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। এতে একে অন্যের কাছ থেকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে আসবে। সুস্থ ব্যক্তির জন্যও এটি প্রযোজ্য।
কোয়ারান্টাইন কেন দরকার?
কোয়ারান্টাইনের মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তি যারা কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, তাদেরকে অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়। তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা
ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা দেখা হয়।
বাড়িতে কোয়ারান্টাইন থাকতে কী করতে হবে?
বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকার অর্থ হলো ১৪ দিন সকল মেলামেশা এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি ঘরে অবস্থান করা। এ সময় কোনো অবস্থাতেই কর্মস্থল, স্কুল বা জনসমাগম স্থলে যাওয়া যাবে না। ধর্মীয় উপাসনালয় বা সামাজিক যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি গণপরিবহন ব্যবহার করা যাবে না। ঘরে অবস্থানকালে পরিবারের অন্যদের সংস্পর্শও যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এক কামরায় থাকলে মাস্ক ব্যবহার ও অন্যদের কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়, গামছা, খাবারের পাত্র ও অন্য অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলো দিয়েও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তি বা তার সংস্পর্শে আসা সকলকে হাত ধোয়া, পরিচ্ছনড়বতা ও হাঁচি-কাশি সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ইমেইল: iedcrcovid19@gmail.com[/penci_fancy_heading]
[/penci_fancy_heading]
কিছু ভ্রান্ত ধারণা ও সঠিক তথ্য (WHO): WHO guidelines
সাধারণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর (WHO): WHO Q&A on coronavirus
[/penci_fancy_heading]