Date: September 08, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / খেলাধুলা / ‘আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আমি তা নই’- কোহলি

‘আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আমি তা নই’- কোহলি

February 26, 2023 09:48:29 PM   ডেস্ক রিপোর্ট
‘আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আমি তা নই’- কোহলি

খেলারপত্র ডেস্ক:
পরিসংখ্যানে ভারতের সফলতম অধিনায়কদের একজন বিরাট কোহলি। তার নেতৃত্বে ধরা দিয়েছে অনেক বড় অর্জন। এত প্রাপ্তির মধ্যে কাঁটা হয়ে আছে কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে না পারা। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে খোদ কোহলিরও।
২০১৪-১৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে মহেন্দ্র সিং ধোনি চোটে পড়লে প্রথমবার ভারতকে টেস্টে নেতৃত্ব দেন কোহলি। ওই সফরের মাঝেই হুট করে এই সংস্করণকে বিদায় বলে দেন ধোনি। এরপর থেকে সাদা পোশাকে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্বভার ওঠে কোহলির কাঁধে। সে ভার তিনি বয়েছেন দারুণভাবে।
কোহলির অধিনায়কত্বে ৬৮ টেস্ট খেলে ভারত। এর মধ্যে জিতে ৪০টিতে, যা দেশটির রেকর্ড। ভারতকে ৬০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ধোনির জয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭টি। সব দেশ মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ জয়ের তালিকায় কোহলির ওপরে আছেন কেবল তিন জন- অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ (৪১), রিকি পন্টিং (৪৮) ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (৫৩)।
২০১৭ সালে পাকাপাকিভাবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্ব পান কোহলি। ওয়ানডেতে তার অধিনায়কত্বে ৯৫ ওয়ানডের মধ্যে দল জিতে ৬৫টি, হার ২৭টি। টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ম্যাচে জয় ৩০টি।
কোহলির নেতৃত্বে লম্বা একটা সময় টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ছিল ভারত। সাদা পোশাকে দেশের বাইরে দাপট দেখাতে শুরু করে ভারত তার সময়েই। আর ঘরের মাঠে তো দলটি হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেসে বড় ধরনের উন্নতি আসে কোহলির নেতৃত্বের সময়। দুর্দান্ত এক পেস আক্রমণ গড়ে ওঠে ওই সময়ই। কিন্তু নেতা হিসেবে কোনো শিরোপা জিততে না পারায় ব্যর্থদের তালিকায় রাখা হয় তাকে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের পডকাস্টে নেতৃত্ব নিয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরেন কোহলি।
“দেখুন, সবাই টুর্নামেন্ট জেতার জন্যই খেলে। সত্যি কথা বলতে, এই সাফল্যের মাধ্যমেই অনেক কিছু নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা ফাইনাল, বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেলেছিলাম। আর আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি কখনোই নিজেকে ওই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করিনি।”
“দল হিসেবে আমরা যা অর্জন করেছি, সংস্কৃতির যে পরিবর্তন এসেছে, এগুলোই আমার কাছে সবসময় গর্বের। কারণ, টুর্নামেন্ট নির্দিষ্ট একটা সময়ে হয়, কিন্তু সংস্কৃতি গড়ে ওঠে দীর্ঘ দিন ধরে। এর জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। একটি টুর্নামেন্ট জিততে যতটা না দৃঢ়তা দরকার, তার চেয়ে বেশি দরকার সংস্কৃতি গড়তে।”
তবে ক্রিকেটার হিসেবে সময়ের সেরাদেরই একজন কোহলি। ২০১১ সালে নিজের খেলা প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার স্বাদ পান তিনি। পরে ২০১৩ সালে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
“ক্রিকেটার হিসেবে আমি ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিৃএমন বহু ক্রিকেটার আছে, যারা কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। শচিন টেন্ডুলকার তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপে এসে শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। আর ওটা ছিল আমার প্রথম বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আসরটি শেষ করি।”
“সত্যি বলতে ২০১১ বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে আমি ভাগ্যবান। যদি ক্যারিয়ারে ভুলগুলোর দিকে চোখ দিতে চাই, তাহলে এটা করা খুবই সহজ। কিন্তু আমি দেখি, ক্যারিয়ারে কী সঠিক হয়েছে। আর সেসবের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”