স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনের খসড়ায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বার্থ এবং সেবাগ্রহীতা কিংবা প্রদানকারী কারোরই সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি বলে মনে করছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। এই অবস্থায় প্রস্তাবিত খসড়াটি বাতিল করে ‘যুগোপযোগী আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এফডিএসআরের মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, খসড়ায় চিকিৎসকদের স্বাধীন ও সৎ চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রকে ভীতিকর করা হয়েছে। এতে কোনো চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। ফলে জনগণ চিকিৎসা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার মূল লক্ষ্য ব্যাহত হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনগণের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকার ও একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ক কর্মীর কর্ম পরিবেশ নিরাপদ ও মানসম্পন্ন করণের দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিশ্চয়ই অভিনন্দন যোগ্য। তবে একটি আইন তখনই আদর্শ হিসাবে গণ্য হয়, যখন সেটা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য প্রকৃত অর্থে কল্যাণকর হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০২৩ এর খসড়ায় তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
আরও বলা হয়েছে, বর্তমান বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অতি সামান্য অংশই রেজিস্টার্ড অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার আওতায় সেবা প্রাপ্ত হয়। অধিকাংশ মানুষ এখনো নিয়ন্ত্রণহীন, নিবন্ধনহীন হাতুড়ে চিকিৎসা, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ-এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ঝাড়ফুঁক নির্ভর। অথচ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা একটি সামগ্রিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় হওয়া ছিল একান্ত প্রত্যাশিত, যা আলোচিত খসড়ায় মোটেও বিবেচিত হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই প্রান্তিক জনগণের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকার করছেন বারবার। দুঃখজনক হলেও তাদের প্রত্যাশার সামান্যও এই প্রস্তাবনায় ব্যক্ত হয়নি, উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।