ডেস্ক রিপোর্ট:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতে সাপের কামড়ে সাইদুর রহমান (১২) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর ৪টায় রংপুরে নেওয়ার পথে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সে মারা যায়।
তবে স্কুলছাত্রের বাবার দাবি, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে সাপে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধক টিকা ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘অ্যান্টিভেনম’ থাকলে তার ছেলেকে বাঁচানো যেতো।
স্কুল ছাত্রের বাবা আবু হানিফ বলেন, গতকাল রোববার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বড় ছেলে সাইদুর রহমানকে সাপে কামড় দিলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপরে সেখানে রাত ৩টায় পৌঁছালে ১০টি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশন ছেলের শরীরে পুশ করে চিকিৎসক। এরপরে ৪০ মিনিটের মধ্যে আরও ১০টি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে বলেন চিকিৎসক। ‘অ্যান্টিভেনম’ জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে ছেলেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রংপুরে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আজ সোমবার দুপুরে স্কুলছাত্রের বাবা আবু হানিফ ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জেলা শহরের এত বড় হাসপাতালে ১০টির বেশি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশন নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। কারণ ৪০ মিনিটের মধ্যে কোন ভাবেই রংপুরে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
এছাড়াও গত কয়েক মাসে অ্যান্টিভেনমের অভাবে বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কয়েক জন সাপের কামড়ে মারা যান।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন , সম্প্রতি জেলায় সাপের কামড় দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় ‘অ্যান্টিভেনম’ বরাদ্দ পাচ্ছে না হাসপাতালগুলো। দ্রুত ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশনের ব্যবস্থার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।