ডেস্ক রিপোর্ট:
জি-২০’র শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
নয়াদিল্লিতে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০’র শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে এই বৈঠকের সময় এখনও নির্ধারিত নয় বলে রোববার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জি-২০ জোটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভারত আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাবে। সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ভারত সফর করবেন। সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি দেশের প্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরিকল্পনাও রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। কারণ গত কয়েক মাস ধরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাঝে যথাযথ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি।
জি-২০ সম্মেলনের ব্যস্ত সময়সূচির ফাঁকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া রোববার উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলন শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথেও বৈঠক করবেন তিনি।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি সফর করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
আর আগামী শনিবার ও রোববার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সম্মেলনে তিনি ও জি-২০’র অংশীদাররা পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাইডেন ও ম্যাক্রোঁর জন্য নৈশভোজ ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে আগ্রহী। কিন্তু অনুষ্ঠানের সময়সূচি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতে শুক্রবার কখন পৌঁছাবেন তার ওপর নির্ভর করছে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, জি-২০ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ সফরে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আগামী রোববার ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন তিনি।
এবারের সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা ধরনের প্রভাব প্রশমনের পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বনেতারা আলোচনা করবেন। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বব্যাংকসহ বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।