আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হলে নির্বাচনেই হতে হয়। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। তারা (বিএনপি) এখন ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব যত পারেন দেখেন। খোয়াবে দিবাস্বপ্ন কতজনই তো দেখে, তাতে কিছু আসে যায় না।
শনিবার ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দয়া করে দণ্ডিত আসামি আপনার নেত্রীকে বাসায় রেখেছেন। লজ্জা করে না, গণঅভ্যুত্থান করবেন। নেত্রীর মুক্তির জন্য একটি মিছিলও করেত পারেননি। দেশনেত্রী বলতে বলতে আপনার মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দেখতে দেখতে ১৩ বছর, আমরা বলেছিলাম- আন্দোলন হবে কোন বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, টেলিভিশনের পর্দায় সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। গাজীপুরে শুধু মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আর সিলেটে পাঁচ জেলার মানুষ হাজির হয়েছে। তিনদিন আগে থেকে ঢল নামিয়েছে। কাঁথা, বালিশ, বিছানাপত্র, হাঁড়ি-পাতিল সব নিয়ে নেতাকর্মীরা সারাদেশ থেকে সিলেটে গেছে। খানাপিনা ভালোই চলছে। পাতিলে পাতিলে খাবার, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছের কোপ্তার পর পেপসিকোলা। ভালোই আছে বিএনপি। ক্ষমতায় না থাকলে কী হবে এখনো তারা ভালোই আছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশির কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিদেশিদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না, কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক আছে? দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ডিসেম্বরে খেলা হবে। আন্দোলনের মোকাবিলা হবে।
এ সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠের ফটকগুলো খুলে দেওয়া হয়। এ সময় মাঠের ভেতরে ঢোকার জন্য মিছিলকারীদের হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দুজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ প্রার্থীর নাম পড়ে শোনানো হয়। পরে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সভাপতি ও আতাউল্ল্যা মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।