খেলারপত্র ডেস্ক:
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট দ্রুত শেষ হওয়ায় আইসিসির কাছ থেকে বাজে রেটিং পেয়েছিল ইন্দোরের পিচ। এরপর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিসিসিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান ও ক্রিকেট কমিটির সদস্য রজার হারপারের নেতৃত্বাধীন আপিল প্যানেল টেস্টের ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছে। এরপর বাজে রেটিং থেকে পরিবর্তন করে গড়পড়তা রেটিং দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। এতে ডিমেরিট পয়েন্ট ৩ থেকে কমে হয়েছে ১। যদিও এমনটি ক্রিকেটে সচরাচর দেখা যায় না।
সাধারণত একটি ম্যাচের উইকেটকে ছয় ধরনের রেটিং দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, গড়পড়তার নিচে, বাজে ও অযোগ্য। শুধু গড়পড়তার নিচে, বাজে, অযোগ্য পিচকেই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। নিয়ম অনুসারে, কোনো পিচ পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না। মূলত এই শাস্তি এড়াতেই ভারতের হলকার স্টেডিয়াম নিয়ে আপিল করেছিল বিসিসিআই।
আপিল প্যানেল ফুটেজ পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ‘নীতিমালা অনুসরণ করেছেন’, তবে বাজে রেটিং দেওয়ার মতো মাত্রাতিরিক্ত অসম বাউন্স ছিল না। এর আগে ম্যাচ রেফারি ব্রডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘পিচ অনেক শুষ্ক ছিল। ব্যাট ও বলের মধ্যে কোনো ভারসাম্য ছিল না। একদম শুরু থেকে স্পিনারদের সাহায্য করেছে।’
ইন্দোরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্টে খেলা হয়েছিল ১৮৯.১ ওভার, উইকেট পড়েছে ৩১টি, যেখানে ২৬টিই পেয়েছেন স্পিনাররা। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড এই পিচকে ‘বাজে’ আখ্যা দিয়ে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছিলেন। ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়াকে বাড়াবাড়ি দাবি করেছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।