আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতীয় সামরিক বাহিনীর শক্তি আরও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এমকিউ নাইনবি প্রিডেটর বা শিকারি ড্রোন কেনার জন্য ৩২ হাজার কোটি রূপির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে ভারত।
খুব শিগগিরই সর্বাধুনিক এই ড্রোন ভারতের হাতে আসবে। এর মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী ‘সিগার্ডিয়ান’ ধরনের ১৫ টি শিকারি ড্রোন পাবে। আর বিমান বাহিনী এবং স্থলবাহিনী ‘স্কাইগার্ডিয়ান’ ধরনের ৮ টি করে শিকারি ড্রোন পাবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডেলাওয়ারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কোয়াড বৈঠকের ফাঁকে এই সাক্ষাতের পরই দুইদেশের মধ্যে শিকারি ড্রোন নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি হয়।
বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরে বেইজিং-দিল্লি সম্পর্কে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ড্রোন ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের জন্য খুবই গুরুত্ববহ। তালেবান, জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদাকে নিকেশ করা বিশেষ এই হানাদার ড্রোনের ২৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ওড়ার ক্ষমতা আছে। উড়তে পারে ৫০ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায়।
আবহাওয়া যেমনই হোক, নিঃশব্দে শত্রু শিবিরে হানা দিতে পারে শিকারি ড্রোন। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টাপ্রতি ৪৪২ কিলোমিটার। বায়ু থেকে মাটিতে, বায়ু থেকে বায়ুতে ক্ষেপণাস্ত্র হিসাবেও এই ড্রোন কার্যকর। ১৭ হাজার কেজি কার্গো বহন করতে পারে এ ড্রোন। বহন করতে পারে ৪৫০ কেজি ওজনের বোমাও।
তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, সিরিয়া আল কায়েদা প্রধান সেলিম আবু আহমদ এবং আল কায়েদা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি এমনকী ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেমানিকেও এই শিকারি ড্রোন দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে শোনা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ নাইনবি শিকারি ড্রোন ‘এমকিউ-নাইন রিপার’ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই ড্রোন ব্যবহার করে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমান বাহিনী। এ বার সে তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে ভারত।
এই ড্রোন ব্যবহার করে ভারত ৭,৫০০ কিলোমিটার উপকূল রেখা বরাবর নজরদারি চালাতে পারবে। ভারতে ৪ টি বিশেষ জায়গায় এই ড্রোন মোতায়েন করা হতে পারে। তার মধ্যে একটি জায়গা হল- আইএনএস রাজালি, এটি চেন্নাইয়ের কাছে। এছাড়াও এই ড্রোন মোতায়েন হতে পারে- গুজরাটের পোরবন্দর, সারসাওয়া, ও উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে।