নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সোনাইমুড়ীতে ডাকাতির ২৬দিন পর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ৮ডাকাতকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সাড়ে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার,অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রবিবার(২১নভেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। সোমবার নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসপি শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী হাজী মো. আলি আজম মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন মানিকের বসতঘরে ১৫/২০জন মুখোশধারি ডাকাত দল গত ২৬অক্টবর রাত ২টার দিকে ঘরের এসএস গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরের অন্যান্য সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৬লক্ষ ৮৫হাজার টাকা,সাড়ে ৩০ভরি স্বর্ণালংকার,৩টি মোবাইল ফোন লুটে নেয়।
এঘটনায় সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের হাজী মো.আলী আজমের পুত্র ব্যবসায়ী জাকির হোসেন মানিক বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৫/২০জন ডাকাত দলের সদস্যকে বিবাদী করে সোনাইমুড়ী থানায় গত ২৮অক্টবর ২০২২ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)জামাল হোসেন দীর্ঘদিন তদন্তের পর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আস্তানার সংবাদ পায়।
রবিবার (২১নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের মুল সদস্য খোরশেদ আলম টিপুকে তার দুই সহযোগীসহ নোয়াখালী সদর এলাকা থেকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৮ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা হলো,খোরশেদ আলম টিপু(৩৭),মো.ফারুক(৩০,নুর কাশেম প্রকাশ মোহন(২৬),মো.ইউসুফ (৩৭),মুরাদ হোসেন (২৫),মো.রুবেল (২৬),নুরুল ইসলাম (৩৫) ও মো.লিটন (২৭)।
পুলিশ তাদের আস্তানায় অভিযান করে ১টি পাইপগান,৩টি কার্তুজ,২টি লোহার তৈরি সাবল,৩টি চেনি ও সাড়ে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
পুলিশ জানান,আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার ও পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত.সানাউল্লাহর পুত্র খোরশেদ আলম টিপু ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত স্বর্ণ পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার বকশিগঞ্জ বাজারে নাইমুল স্বর্ণশিল্পালয় সাড়ে ১ভরি ও ফেনী জেলা সদরে গোপালপট্রি স্বর্ণ শিল্পালয়ে ১৫ভরি স্বর্ণ বিক্রি করে।
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়,ঐ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির পূর্বে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নুরুল ইসলাম কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতে যায়। সে ও ডাকাত সর্দার খোরশেদ আলম টিপু ঐ বাড়িতে ডাকাতির ফন্দি আঁকে।
সোনাইমুড়ী-চাটখীল থানার এএসপি (সার্কেল)রাজিব হাসান ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সোনামুড়ী থানায় মামলা প্রক্রিয়া দিন।