ক্রীড়া ডেস্ক:
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) পায়ের ছাপ পড়েনি ক্রিকেটারদের। কারণ এশিয়া কাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের দুই দিনের বিশ্রামে পাঠিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে টাইগারদের এই প্রধান কোচের বিশ্রামের সময় কোথায়! সকাল নাগাদ তিনি মিরপুরে এসে বিসিবির চুক্তিতে থাকা সব কোচদের সঙ্গে বসেন। এই সময় কোচদের কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দেন হাথুরু।
এর আগে হাথুরু দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেই টাইগার ক্রিকেটের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি এখন আগের চেয়েও বেশি অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজের ধরন সম্পর্কে জানি। এটি শুধু ম্যাচ জয়েরই বিষয় নয়, একইসঙ্গে কিছু বিষয় ফিরিয়ে আনা এবং কিছু বাদ দেওয়ারও বাস্তবতা আছে। তার কথারই প্রতিফলন দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এরপর সাকিব-মুশফিক ও শান্তদের আক্রমণাত্মক রূপ আবিষ্কার করেন দেশের ক্রিকেটভক্তরা। এছাড়া ক্রিকেটার নির্বাচনেও তার স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
মিরপুরে টাইগারদের প্রস্তুতি, দোকান উদ্বোধনে দুবাইয়ে সাকিব। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার দেশের বিভিন্ন স্তরের কোচদের সঙ্গেও আলোচনার টেবিলে বসেন হাথুরুসিংহে। ওই বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, এইচপি ইউনিটের প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প, বাংলাদেশ টাইগার্সের কোচ জেমি সিডন্স, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল এবং তাদের সহকারী কোচরা। মূলত বিসিবির প্রোগ্রাম হেড ডেভিড মুরের তত্ত্বাবধানে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনার বিষয়ে ক্রিকবাজকে এইচপি দলের কোচ ডেভিড হেম্প বলেন, ‘এটি স্বাভাবিক একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া, যেখানে জাতীয় দলে কোচ চন্ডিকা তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। কিভাবে ক্রিকেটাররা ভালো করছে এবং উন্নতির পথে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে আরও কিভাবে কাজ করা যায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘তিনি (হাথুরুসিংহ) আমাদের লেগ-স্পিনার ও পেস অলরাউন্ডারদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই দুই শ্রেণির ক্রিকেটার পেলে তাদের সামনে এগিয়ে নিতে হবে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের বেশি সুযোগ দিতে বলেছেন তিনি।’