দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো এক নারীকে মাদক চোরাচালানের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে সিঙ্গাপুর। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে তার ফাঁসি কার্যকর করার কথা রয়েছে। ওই নারী ছাড়াও আরও এক চোরাকারবারীর ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে।
মঙ্গলবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ওই দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতে সিঙ্গাপুরের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ (টিজেসি) বলেছে, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি কারাগারে একজনের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ৫০ গ্রাম (১ দশমিক ৭৬ আউন্স) হেরোইন পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মাদক চোরাচালানের দায়ে ৪৫ বছর বয়সী সারিদেউই জামানি নামের আরেক নারীর মৃত্যুদণ্ড শুক্রবার কার্যকর করা হবে বলে দেশটির ওই মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, প্রায় ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের দায়ে ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে।
টিজেসির মানবাধিকারকর্মী কোকিলা আন্নামালাই বলেছেন, শুক্রবার যদি জামানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, তাহলে ২০০৪ সালের পর সিঙ্গাপুরে এটিই প্রথম কোনও নারীর সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের ঘটনা হবে। মাদক চোরাচালানের দায়ে ওই বছর ইয়েন মে উয়েন নামের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
টিজেসি বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা ওই দুই বন্দি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এএফপির পক্ষ থেকে ই-মেইলে জানতে চাওয়া হলেও দেশটির কারা কর্মকর্তারা সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে ফরাসি এই বার্তা সংস্থা।