এখন পর্যন্ত ব্রাজিল তথা বিশ্বফুটবলের অন্যতম বড় তারকা নেইমার। এখনো বিশ্বকাপ বা ব্যালন ডি’অর জিততে না পারলেও তারকা খ্যাতিতে অনেক এগিয়ে। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে নেইমারই ব্রাজিলের অন্যতম সেরা অস্ত্র।
হেক্সা মিশনের আগে নেইমারও আছেন দারুণ ফর্মে। তাকে নিয়ে সমালোচনা আছে, ট্রলও হয় বিস্তর। সব কিছু উড়িয়ে দিয়ে নেইমার বললেন, তার নাম এরইমধ্যে ফুটবল ইতিহাসে খোদাই করা হয়ে গেছে। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, ‘ব্রাজিলের হয়ে খেলাটা আমার স্বপ্ন ছিল। শুধু জাতীয় দলে খেলাটাই একটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার। এটা এমন একটা স্বপ্ন, যা আমি কেবল নিজের জন্য দেখিনি, এটা আমার সেসব বন্ধুর জন্যও, যারা পেশাদার ফুটবল খেলতে পারেনি। আর আমার বাবা, দাদা এবং পরিবারের জন্য তো বটেই। আমি প্রতিদিন নিজের যত্ন নিই, প্রতিদিন নিজেকে প্রস্তুত করি। ফুটবল খেলার জন্য যা দরকার, তা আমাকে করতে হয়। যেদিন থেকে আমি নিজের যত্ন নিতে পারব না, সেদিন থেকে আর ফুটবল খেলব না। মানুষ যা ভাবে, আমার জীবন তা নয়। ’ তাকে ঘিরে সকল সমালোচনা আর বিতর্ক পাত্তাই দিতে চান না নেইমার, ‘এটা দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করছে। যেভাবে আপনি দেখছেন, তার ওপর। আমি আজ ব্রাজিল দলে খেলি বলে আমাকে ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই শুনতে হয়েছে। আর এমন অনেক কিছুও শুনতে হয়, যার দিকে ফিরে তাকালে মনে হয়, এসব অর্থহীন। নিজের যত্ন না নিলে আমি কখনো ক্যারিয়ারে যে পর্যায়ে আছি বা যে পরিসংখ্যান আমার পক্ষে আছে, তা অর্জন করতে পারতাম না। অনুশীলন ছাড়া কিংবা জেতার জন্য লড়াই ছাড়া এটা অর্জন সম্ভব হতো না। এ কারণে অন্যায় সমালোচনা আমাকে কষ্ট দেয়। ’
নেইমার আরো বলেন, ‘আমি কিসের ভেতর দিয়ে যাই, তা কেউ জানে না। কেউ জানে না, আমার দিনগুলো কেমন কাটে। সেখানে আমার জন্য কেউ থাকে না। যারা আমার কাছের মানুষ, যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন, ভালো করতে আমি কী করি। শতভাগ দেওয়ার জন্য এবং আঘাত না পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যেতে হয়। চোট আসে; এটা খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই চোট এমন সময় আসে, যখন আপনি চান না। এটা খেলারই অংশ। ’মাঠের বাইরে আমুদে মানুষ হিসেবে নেইমারের সুনাম আছে। সব সময় হৈ-হুল্লোড় আর পার্টিতে মেতে থাকেন।
নিজের জীবনবোধ নিয়ে নেইমার বলেন, ‘আমি আনন্দে থাকা মানুষ। আমি নিজেকে নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমি নিজেকে সেরা বলতে পছন্দ করি না। আমি ফুটবল খেলতে পছন্দ করি, জিততে পছন্দ করি। প্রতিদিন আরেকটু ভালো হতে চাই। আমি সতীর্থদের সাহায্য করতে চাই। এটাই আসল। আমি আশা করি, আমার নামটা ফুটবল ইতিহাসে খোদাই করা আছে। যদি ফুটবলে নাও হয়, কারো জীবনে নিশ্চয়ই আছে। ’