ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী অবরোধের তেমন প্রভাব পড়েনি রাজশাহীতে। ছোট যানবাহনের সঙ্গে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল। অবরোধকে কেন্দ্র করে দুপুর একটা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নগরীর সড়কগুলোতে চাপ ছিল রিকশা ও অটোরিকশার। এছাড়া অন্যান্য দিনের মতোই দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে নগরের সড়কে যানবাহন তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। তবে সড়কে বাস চলাচল না করায় সিএনজি ও হিউম্যান হলার চালকদের বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নগরীর সাহেববাজার, লক্ষীপুর, কোর্ট, কাশিয়াডাঙ্গা, নওদাপাড়া, রেলগেট, স্টেশন, ভদ্রা, তালাইমারী ও বিনোদপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা স্বাভাবিক দিনের মতোই দেখা গেছে। নগরীর ভদ্রা ও গোরহাঙ্গায় ছিল সিএনজি ও হিউম্যান হলারের ভিড়। ভদ্রা মোড় থেকে যাত্রীরা নটোর ও রংপুরের উদ্দশ্যে রওনা দিচ্ছেন। আর গোরহাঙ্গা থেকে যাত্রীরা নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। তবে শিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে দুরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে দেখা যায়নি।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, সকালে রাজশাহী থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে দুটি বাস ছাড়ে। যাত্রী নেই বললেই চলে। আপাতত বাস বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে, নির্ধারতি সময়ে রাজশাহীতে থেকে ট্রেন চলাচল করছে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী থেকে ছয়টি ট্রেন ছেড়েছে। একই সাথে দুইটি ট্রেন এসেছে।
ট্রেনের যাত্রী রাকিব বলেন, সঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়েছে। রাজশাহী স্টেশনে সঠিক সময়ে পৌঁছেছে। অবরোধের কারণে একটু ভয় করছিল। ট্রেনে পুলিশ ছিল। সবমিলে ভালো যাত্রা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা টহল দিচ্ছে। আজ রাজশাহী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছয়টা ট্রেন ছেড়ে গেছে। দুটি ট্রেন সঠিক সময়ে ফিরেছে।
রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন অটো যাত্রী রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, কাজ করে খেতে হবে, অফিস চলছে, যানবাহনও চলছে। বাড়িতে বসে থাকার সুযোগ নেই, এই হরতাল অবরোধে কর্মজীবনে প্রভাব নেই বললেই চলে, কারণ সবাই জীবিকার তাগিদে ঘর ছেড়েছে।
হরতালের দিনও গাড়ি বের করেছেন সেলিম, কুলসহ কয়েকজন অটোরিকশা চালক। রাত ১০টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালাবেন তারা। সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, অবরোধকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন