ক্রীড়া প্রতিবেদক: রোহিত শর্মা ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়াতেই সুযোগ পেয়েছেন ইশান কিশান। সেই সুযোগ শুধু কাজেই লাগাননি, অনেকগুলো রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি দ্রুততম ডাবলের রেকর্ডটিও করেছেন। তারপরও পরের ম্যাচে ইশান একাদশে থাকবেন কিনা তা নিয়ে আছে সংশয়! যদিও ভারতীয় দলে এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
আজিঙ্কা রাহানের পরিবর্তে ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা পেয়েই অভিষেকে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছিলেন করুন নায়ার। কিন্তু রাহানে ফিরলে পরের ম্যাচে পানি টানতে হয়েছিল তাকে।
ইশানের ভাগ্যে কি তেমন কিছুই ঘটবে? ইশান অবশ্য সেসব নিয়ে একদমই চিন্তিত নন। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে পরের ম্যাচটি খেলতে পারবেন কিনা। এমন প্রশ্ন শুনে সামান্যতম অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়নি কিশানকে। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন ভারতীয় দলে এই রকম ঘটছে প্রতিনিয়তই।
ভারতীয় এই ওপেনার বলেছেন, ‘আমি জানি না (সুযোগ পাবো কিনা)। এসব নিয়ে চিন্তাও করি না। হাতে যেটা আছে, যখনই সুযোগ পাবো ভালো করার চেষ্টা করবো। আমি কথা বলতে চাই না। আমার হয়ে ব্যাট কথা বলুক।’
২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ইশানের। এই সময়ে ভারত ২৬টি ম্যাচ খেললেও তিনি খেলেছেন নয়টি। পারফরম্যান্স আহামরি খারাপ ছিল না। তিনটিতে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন, যার মধ্যে একটিতে নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হয়েছেন। শনিবার নিজের দশম ম্যাচে ইশান নিজেকে চেনালেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১২৬ বলে ২১০ রানের ভয়ঙ্কর এক ইনিংস খেলে ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলেছেন।
এই কীর্তির পরও আগামী ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ইশান উদ্বিগ্ন নন। বরং সিনিয়রদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দিত তিনি, ‘আমরা নিয়মিত ম্যাচ খেলছি, এটা ভালো দিক। সিনিয়রদের দলে এসেছি সেটাও ভালোদিক। প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পাইনি। এখানে খেলার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। যখনই আপনি সুযোগ পাবেন, সর্বোচ্চটা দিতে হবে।’
দ্বিতীয় উইকেটে ২৯০ রানের জুটি গড়েন ইশান। বিরাট কোহলির সঙ্গে ব্যাটিং করতে পেরে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এই ব্যাটার বলেছেন, ‘বিরাট ভাইকে ব্যাটিংয়ে নামতে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছি। চিন্তা করেছি, কী দারুণ সুযোগ তার সঙ্গে ব্যাট করার। অবশ্য আমি চিন্তা করতে পারিনি জুটি এতোটা বড় হবে। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে তার মতো একজনের ব্যাটিং দেখতে পারা দারুণ উপভোগ্য। তারা কীভাবে নিজেকে শান্ত রাখে, কিভাবে বোলারদের টার্গেট করে, কি চেষ্টা করে, কেন চেষ্টা করে। জুটি গড়ার পথে আমরা সর্বত্র কথা বলেছি। চেষ্টা করবো তার সঙ্গে এরকম আরও জুটি গড়ার।’
বয়সভিত্তিক দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেই এখন কোচ হিসেবে পেয়েছেন কিশান। ইনিংস শেষে রাহুলের মুখে হাসি দেখে আনন্দিত কিশান নিজেও, ‘রাহুল বেশ খুশি ছিল। সে জানতো সে আমাকে চাইলেই সুযোগ দিতে পারবে না। কারণ আমাদের দলের ওজন অনেক ভারী। সেজন্য সে খুশি ছিল আমি সুযোগটি কাজে লাগিয়েছি। সত্যি বলতে এই পর্যায়ে আপনি খুব কম সুযোগ পাবেন। বড় খেলোয়াড় এই সুযোগগুলো লুফে নিয়েই বড় হয়।’