Date: October 22, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / সারাদেশ / আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক দম্পতি

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক দম্পতি

August 11, 2023 11:24:51 AM   ডেস্ক রিপোর্ট
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক দম্পতি

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাঙামাটিতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন এক চিকিৎসক দম্পতি। বন্যাকবলিত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত শিশু-বৃদ্ধসহ সকলকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন এই দম্পতি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডস্থ মুসলিম ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মধ্যে অসুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ডা. রাজিউর রহমান ও ডা. জিনাত মোস্তফা সারা দস্পতি। নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সহযোগিতায় চিকিৎসার সঙ্গে তারা বিনামূল্যে ওষুধও দিচ্ছেন।

এর আগেও দরিদ্র রোগীদের থেকে টাকা না নিয়ে চিকিৎসাসেবার সঙ্গে ওষুধ কেনার জন্য সহযোগিতা করে গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন রাজিউর-সারা দম্পতি। বাঘাইছড়িতে তাদের মানবতার কথা জানেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তারা।

ডা. রাজিউর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের একমাত্র ধর্মই হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমি এবং আমার স্ত্রী সেই দায়িত্বই পালন করছি। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর অনেক মানুষ এখন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাই তাদের সেবায় আমরা কাজ করছি। বাঘাইছড়ির অনেকেই বন্যার্তদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আমরাও তাদের সহযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাঘাইছড়ির ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী শামসুল আলম আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, দুই দিন যাবত আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। বাড়িতে পানি ওঠার কারণে বাড়ি যেতে পারছি না। আমার শ্বাসকষ্ট আছে, এই অবস্থায় ডাক্তার সাহেব আমাদের বিনামূল্য চিকিৎসা করছেন, ওষুধও দিচ্ছেন। আমরা উনার কাছে কৃতজ্ঞ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, বিপদেই মানুষের আসল পরিচয়। এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি ডা. রাজিউর রহমান ও ডা. জিনাত মোস্তফা সারা দম্পতি যেটা করছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। উনাদের মতো সবারই মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত।