ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ঐতিহাসিক সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ সাকিবের দলে লক্ষ্য এবার টি-টোয়েন্টি। আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
আইরিশদের আগে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও সাকিব আল হাসানদের ভাবনায় জয় ছাড়া কিছুই নেই। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলেছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে এসে দলের ভেতরকার চেহারাটা বদলে দিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার পক্ষে হাথুরুসিংহে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। এর মানে এই নয় যে, মাঠে নেমেই মারতে হবে। আক্রমণাত্মক মানে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা, মানসিক অবস্থা; সবকিছুতেই আমরা এগিয়ে থাকতে চাই।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে, দুটো সিরিজেই সেই মনোভাব দেখা গেছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। ফলও এসেছে অনুকূলে। পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রশংসা পেয়েছে স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করে। তারুণ্যনির্ভর দলটা এগিয়ে চলেছে দায়িত্ব নিয়ে। যদিও টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছেন না তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরা। হাথুরুসিংহে ও সাকিব আস্থা রাখছেন তরুণদের ওপর।
ফিট, ফুরফুরে ও আত্মবিশ্বাসী এক বাংলাদেশের সামনে টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ভয় পাচ্ছে না আয়ারল্যান্ড। গত শনিবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আইরিশ ক্রিকেটার রস অ্যাডাইর। দলের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সবাই খুব হতাশ। তবে, এটি একটি নতুন শুরু, নতুন সংস্করণ। আমরা ফিরে আসতে মুখিয়ে আছি এবং এই ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক যে আমরা পারব। আমরা জানি, বাংলাদেশ কতটা ভালো। তবু, নতুন সংস্করণে আমরা আমাদের সুযোগ দেখছি।’
সুযোগ কাজে লাগিয়ে আইরিশরা ফিরতে পারে, নাকি বাংলাদেশ অব্যাহত রাখে জয়ের ধারা, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালকের ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
আয়ারল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:
পল স্টার্লিং, অ্যান্ড্রু বালবার্নি (অধিনায়ক), লোরকান ট্রাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি ট্যাক্টর, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, কার্টিস ক্যাম্ফার, মার্ক অ্যাডাইর, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথিউ হামফ্রেইস ও ক্রেইজ ইয়ং।