ক্রীড়া প্রতিবেদক:
মাঠের পারফরম্যান্সে ইউরোপীয় বড় প্রতিযোগিতার মঞ্চে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন সফলতা না পেলেও, আয়ের দিক থেকে শীর্ষে উঠেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২২-২৩ মৌসুমে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয়ে তারা আগের বছরের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তবে আগের চেয়ে আয় বেড়েছে গতবারের ট্রেবলজয়ী সিটির। যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘ডিলোইট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপ’র বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ‘মানি লিগ’ গবেষণায় জানা গেছে— ২০২২-২৩ মৌসুমে রিয়াল রেকর্ড সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে ৮৩১ মিলিয়ন ইউরো। তাদের এমন উত্থানে তালিকার দুইয়ে নেমেছে ম্যানসিটি। যদিও তারা রেকর্ড সর্বোচ্চ আয় করেছে এবার, সর্বশেষ মৌসুমে এফএ কাপ, প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ— ট্রেবলজয়ী দলটি ৮২৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে।
সবমিলিয়ে ২০টি উচ্চ পর্যায়ের ক্লাবের রাজস্ব আয় এবার ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ১০.৫ বিলিয়ন ইউরোতে। এমন রেকর্ড আয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে ম্যাচ-ডেতে টিভি সম্প্রচার ও ‘কমার্শিয়াল’ রাজস্ব থেকে। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর এই প্রথম এই খাত থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে ক্লাবগুলি (কোভিডের প্রভাব পড়া ২০১৯-২০ মৌসুম বাদ দিলে)। ক্লাবগুলির আয়ের আরেকটি প্রধান খাত সম্প্রচার সত্ত্ব থেকে এবার আয় বেড়েছে স্রেফ ৫ শতাংশ।
আয়ের দিক থেকে তিনে আছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি, ৮০২ মিলিয়ন ইউরো আয় তাদের। ৮০০ মিলিয়ন ইউরো আয় নিয়ে চারে বার্সেলোনা। গত মৌসুমে লা লিগা জয়ী ক্লাবটি আগের মৌসুমে ছিল সপ্তম স্থানে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। গত মৌসুমে তাদের আয় ৭৪৬ মিলিয়ন ইউরো।
সে হিসেবে বড় পতন হয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের। তিন নম্বর অবস্থান থেকে তারা রাজস্ব আয়ে নেমে গেছে সাত নম্বরে। সর্বশেষ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়া অলরেডরা আয় করেছে ৬৮৩ মিলিয়ন ইউরো।
জার্মান ক্লাবগুলির মধ্যে সবার ওপরে অবস্থান যথারীতি বায়ার্ন মিউনিখের। ৭৪৪ মিলিয়ন ইউরো আয়ে তারা আছে ছয়ে। আট থেকে দশে আছে তিন ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি ও আর্সেনাল। আয়ের খেলায় শীর্ষ ২০ ক্লাবের মধ্যে ৮টি–ই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। আগের মৌসুমে এই সংখ্যা ছিল ১১। এছাড়া ৪৩২ মিলিয়ন ইউরো আয় নিয়ে ইতালির শীর্ষ ক্লাব জুভেন্তাস এগারো নম্বরে আছে।