এক বছর আগে এই সেন্টার কোর্ট থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বিদায় নিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। মাঝে একটা বছর চলে গিয়েছিল, কিন্তু গ্র্যান্ড স্ল্যামে আর নামা হয়নি তার। এক বছর পর সেই সেন্টার কোর্টেই উইম্বলডনে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল বর্তমানে নারী টেনিসের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ীর। তবে ফেরাটা একরাশ বিষাদই উপহার দিয়েছে তাকে। ফরাসি হারমনি ট্যানের কাছে ৫-৭, ৬-১, ৬-৭ (৭-১০) গেমে হেরে যে প্রথম রাউন্ডেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল তার।
টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে ১২০৪তম অবস্থানে নেমে গেছেন। তাতে সরাসরি বাছাইয়ের পথও বন্ধ। তবে উইম্বলডনে তিনি খেলতে এসেছিলেন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। তবে তাকে ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়াটা যে মোটেও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না কর্তৃপক্ষের, সেটা খেলা দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন সেরেনা। শুরু থেকেই সেরেনা ছিলেন উদ্যমী, দেখে মনেই হচ্ছিল না, সেরেনা এক বছর পর নেমেছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম আঙিনায়! তবে র্যাঙ্কিংয়ের ১১৫তম অবস্থানে থাকা ট্যানও ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন। প্রথম সেটটা আরেকটু হলে চলে যাচ্ছিল টাই ব্রেকারেই। তবে প্রথম সেটের শেষ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ৫-৭ পয়েন্টে জিতে এগিয়ে যান ট্যান। পরের সেটের পয়েন্ট ব্যবধান দেখে মনে হতে পারে গেমটা অনায়াসেই জিতেছেন সেরেনা। তবে বিষয়টা মোটেও তা নয়, সেরেনাকে এই সেট জিততে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বেশ। দ্বিতীয় গেমটাই তো গড়িয়েছে ২০ মিনিট ধরে, হয়েছে ১২ টি ডিউস। তবে সেরেনা শেষ হাসি হাসেন ৬-১ ব্যবধানে জিতে। খেলা গড়ায় তৃতীয় সেটে।
তৃতীয় সেটে ট্যানের সার্ভিস ব্রেক করে এগিয়ে যান সেরেনা, তবে তার ফরাসি প্রতিপক্ষ ম্যাচে ফেরেন পরের গেমেই। এভাবেই খেলা গড়ায় ৪-৪ পর্যন্ত, এরপর ট্যানের আরও এক সার্ভ ব্রেক করে সেরেনা এগিয়ে যান ৫-৪ ব্যবধানে, পরের গেমে নিজের সার্ভে যখন ৩০-১৫ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন সেরেনা, তখনই প্রত্যাবর্তনের গল্পটা লিখে বসেন ট্যান। খেলাটা নিয়ে যান টাইব্রেকারে। সেখানেও সেরেনা ৪-০ ব্যবধানে এগিয়েই গিয়েছিলেন। তবে সেখানে আরও একপ্রস্থ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের লড়াই শেষে জয়ের হাসি হাসেন হারমনি ট্যান। আর তাতেই বেজে যায় ৪০ বছর বয়সী সেরেনার বিদায়ঘণ্টা।