খেলারপত্র ডেস্ক:
দরজায় কড়া নাড়ছে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড এরইমাঝে জানিয়েছে, অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই ওল্ড ট্রাফোর্ডে নামবে তারা। কিন্তু, জটিলতায় আছে অস্ট্রেলিয়া। দিনদুয়েক আগেও ডেভিড ওয়ার্নারের বাদ পড়া ছিলো প্রায় নিশ্চিত। তার জায়গায় দলে আসার কথা ক্যামেরন গ্রিনের। তবে আচমকায় যেন বেঁকে বসলেন গ্রিন নিজেই।
জানালেন, টেস্টে ওপেনিং করাটা খুব একটা বাস্তবসম্মত নয় তার জন্য।
ব্যাট হাতে এবারের অ্যাশেজে ছয় ইনিংসে মাত্র একবার পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস খেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। হেডিংলির তৃতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। এই নিয়ে মোট ১৭ বার ইংলিশ পেসারের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনি।
হেডিংলির সেই টেস্ট হেরেও যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দল হারলেও ব্যাটে বলে দারুণ ছিলেন ক্যামেরন গ্রিনের পরিবর্তে দলে ডাক পাওয়া মিচেল মার্শ। চলতি অ্যাশেজের প্রথম দুই ম্যাচেই ভালো করেছিলেন গ্রিন। তৃতীয় টেস্টেও বিবেচনা করা হচ্ছিলো তাকে। তবে, বাদ সাধে ইঞ্জুরি।
ইঞ্জুরির কারণে তৃতীয় টেস্টে বাদ পড়লেও চতুর্থ টেস্টে ফেরার সম্ভাবনা আছে গ্রিনের। সেই সাে ভালো পারফর্মের কারণে দলে াকার কথা মার্শের। আর টিম কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়তে পারেন ওয়ার্নার।
তবে, ওয়ার্নারের বদলে দলে এসে ওপেনিং পজিশনে খেলতে যেন রাজি নন ক্যামেরন গ্রিন। গণমাধ্যমের কাছে এসে এই অলরাউন্ডার বলেন, আমার মতে, এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, অলরাউন্ডারের জন্য এটা এক বাড়তি চাপ। সম্ভবত শেষ ওয়াটসনের কথাই এক্ষেত্রে বলা যায়। আর আমি নিশ্চিত না, তিনি ঠিক কত ওভার বল করতেন। ২০০৯ অ্যাশেজে ওয়াটসনকে দেখা গিয়েছিলো ওপেনিং এর ভূমিকায়। সেবার প্রায় ৪২ গড়ে ব্যাট করেছিলেন ওয়াটসন। বল করেছেন গড়ে ১৫ ওভার। বর্তমানে ক্যামেরন গ্রিন গড়ে ১৩ ওভার বল করতে দেখা যায়।
অবশ্য দলের প্রয়োজনে ওপেনিং পজিশনে ব্যাট করতে আপত্তি নেই গ্রিনের। তিনি জানান, ‘আমার মনে হয়, টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য একজন যেকোন পজিশনেই ব্যাট করতে রাজি হবেন। পুরো ব্যাপারটাই নির্বাচকদের হাতে ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করা দরকার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য গ্রিনকে ওপেনিং করতে দেখা যাবে কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। টেস্টে ওয়ার্নারকে আরও একবার সুযোগ দেয়ার পক্ষে অনেকেই।
সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং চান আবারও ওয়ার্নারকে সুযোগ দেয়া হোক।