রূপালি জগৎ ডেস্ক:
‘অনেকে কাজ বাদ দিয়ে সমিতি নির্ভর হয়ে পড়ল। এফডিসি হয়ে গেল চলচ্চিত্র নয়, সমিতি নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। কিছু অযোগ্য লোকের কাছে সিনেমার পরিবর্তে সমিতি হয়ে গেল ধ্যান-জ্ঞান। সমিতির নির্বাচন, পিকনিক, ইফতার পার্টি নিয়ে তাদের যেভাবে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সিনেমা নিয়ে তত নয়। এতে করে চলচ্চিত্রের বারোটা বেজেই চলেছে’- এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার ভাইজান শাকিব খান।
গেল পাঁচ বছর ধরে এফডিসির অভ্যন্তরে কাজের চেয়ে সমিতি কালচার চর্চার ফলে হানাহানিতে সিনেমার পরিবেশ নষ্ট করে বলে মনে করেন দেশসেরা এই চিত্রনায়ক।
শাকিব খান মনে করেন, এসব না করে জরুরি ছিল এফডিসি থেকে সার্ভার সিস্টেমের মাধ্যমে সিনেমা প্রদর্শন করা, এফডিসিতে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের ব্যবস্থা করা। এমন আরো অনেক আধুনিক কাজের কোনো ব্যবস্থা নেই এফডিসিতে। তাই এফডিসি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে কীভাবে? এফডিসি এখন হয়েছে পরিত্যক্ত পাটকলের মতো। এমন সব দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই চলচ্চিত্রের সংকট নিশ্চিত কেটে যাবে বলে যোগ করেন ঢালিউড ভাইজান।
চলচ্চিত্রে এখন জৌলুস অনেকটাই নেই। আশার বাণী শোনা গেলেও উত্তরণের দেখা সহসা মেলেনি। পরিত্রাণের উপায় কী? এ বিষয়ে শাকিব বলেন, আমার বিশ্বাস এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে। এ জন্য দরকার চলচ্চিত্রের প্রত্যেকের কাজের প্রতি সততা ও ডেডিকেশন।
তবে গত দুই বছর ধরেই নতুন সিনেমার শুটিংয়ে নেই শাকিব। এ সময়ে মুক্তি পাওয়া তার সিনেমা দর্শক গ্রহণ করেনি। তবে গত দুই বছরে নতুন সিনেমার ঘোষণায় বেশ সরব ছিলেন এ নায়ক।
ক্রমেই অভিনেতার ঘোষিত সিনেমার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। ‘রাজকুমার’, ‘প্রিয়তমা’, ‘কবি’, ‘প্রেমিক’ সিনেমার পর এবার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘শের খান’ সিনেমাটিও। এই সিনেমাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরণের ধোঁয়াশা রয়েছে। এছাড়াও থমকে আছে সরকারি অনুদানে শাকিব প্রযোজিত ‘মায়া’ সিনেমাটি।
বর্তমানে শাকিব অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আগুন’, তপু খানের ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’, ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘অন্তরাত্মা’। আসন্ন রোজার ঈদে সিনেমাগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।