রূপালি জগৎ ডেস্ক:
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলীর। শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্যজীবনে ঝামেলা লেগেই আছে গত বছরের শেষ দিক থেকে। ইদানীং এই দম্পতির সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। গতকাল রোববার এক সাক্ষাৎকারে বুবলীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনেন শাকিব।
এবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন বুবলী। তবে সেটা শাকিবঘটিত কোনো কারণে নয়, বরং গতকাল মা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। সেখানেই বক্তব্য দিতে গিয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। মায়ের কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন বুবলী।
তিনি বলেন, ‘গত আট বছর ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। অল্পদিনের ক্যারিয়ারে দর্শকদের ভালোবাসায় বেশ কিছু পুরস্কার আমার ঝুলিতে যোগ হয়েছে। কিন্তু আজকের (গতকাল) সময়টা আমার কাছে অন্যরকম। এ ধরনের চমৎকার আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের অসংখ্যা ধন্যবাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মায়েদের সম্মানিত করেছেন জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা ম্যাম। তাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নায়িকা। তার কথায়, ‘আমার মাকে নিয়ে বলতে গেলে, আমি প্রচুর ইমোশনাল হয়ে যাই। কোনো দিন বলা হয়নি, প্রথমেই বলি—মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ এ কথা বলার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন বুবলী।
এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া যে মা বেঁচে থাকাবস্থায় আমি আমার মাকে সম্মানিত করতে পেরেছি। বর্তমানে আমার মা অনেক অসুস্থ। উনি আমার অক্সিজেন। আমি কখনো ভাবতে পারি না, আমি থাকা অবস্থায় আমার মা নেই। কখনো চিন্তা এলে আমি প্রচণ্ড ইমোশনাল হয়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হয়তো কাজ করি, ব্যস্ত থাকি। মায়ের জন্য সময় বের করতে পারি না। খোঁজও নিতে পারি না, মা তুমি কেমন আছো? নিজের জীবনে মায়ের অবদান তুলে ধরে বুবলী বলেন, ‘আমার এ সফলতার পেছনে বড় অবদান আমার মায়ের। এখনো কাজ করছি। এখনো আমার পাশে থাকেন আমার মা। শুধু তাই নয়, আমিও একজন মা। আমার ছেলে আছে। তাকেও দেখভাল করে আমার মা। যেন আমার কাজে সহযোগিতা হয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখান বুবলী। এরপর শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দেন বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে বুবলীর জোড়া ছবি; তপু খান পরিচালিত ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবিতে তার বিপরীতে সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন শাকিব খান এবং সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘লোকাল’-এ আদর আজাদ।