Date: October 22, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / সারাদেশ / খুলনা / কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় ঘের ব্যাসায়ীকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ!

কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় ঘের ব্যাসায়ীকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ!

July 16, 2023 02:51:12 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় ঘের ব্যাসায়ীকে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ!

কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় তমাল হোসেন মিন্টু নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গড়ভাঙ্গা এলাকার ১০৬ নং গড়ভাঙ্গা মৌজার আনুমানিক ১২০ বিঘা খড়িলার বাওড়টি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধ থাকায় চাষাবাধ করতে না পেরে জমির ১১২ জন মালিক মৎস্য চাষের জন্য গত মার্চ মাসের ০৬ তারিখে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য ডিডের মাধ্যমে মনিরামপুর উপজেলা হাসাডাঙ্গা গ্রামের তমাল হোসেন মিন্টুকে লিজ দিয়েছেন। বাওড়টি মৎস্য চাষের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে পাড় বাধানো ও মাছ ছেড়ে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন তিনি।

গত ৫ বছরেও বাওড়টি তিনি লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে জমির মালিকদের যথাসময়ে হারির টাকা পরিশোধ করেছেন। যে কারনে জমির মালিকরাই তাকে পুনরায় ডিড করে দিয়েছেন। বাওড়টি ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঘের ব্যবসায়ী তমাল হোসেন মিন্টু। মনিরামপর উপজেলার বাটবিলা গ্রামের আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় আলমগীর হোসেন মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ঘের দখলের  হুমকি দিতে থাকে।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার গভীর রাতে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর হোসেন, হাসেম আলী, ফকরুল হোসেন, রওশন আলী, আব্দুস সামাদ, মতিয়ার রহমান, উত্তম কুন্ডু, গোপাল মন্ডলসহ একদল ব্যক্তি দেশীয় অসেস্ত্র সজ্জিত হয়ে খড়িলার বাওড়ের কয়েকটি টোং ঘর, মেশিন ভেঙ্গে দিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এসময় বাধা দিতে গেলে ঘেরের পাহারাদার ও ঘের মালিককে হামলাকারীরা আটকে রেখে টানা জাল, বেড়জাল ও ক্ষেপলা জাল দিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার প্রায় ৫০ মন সাদা মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলার আবেদন করা হযেছে।

বাড়রওটির ইজারাদার তমাল হোসেন মিন্টু বলেন, দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে আলমগীর হোসেন ইতিমধ্যে টংঘর ভেঙ্গে ও মাছ লুট করে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে।  জমির মালিকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া ডিড তৈরি করে ঘের দখলের চেষ্টা করতে সরকারের বিভিন্ন  দপ্তরে বানোয়াট অভিযোগ করে হয়রানি করছে। এসব অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে তারাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা আমি পাইনি। যে কারনে জমির মালিকদের সাথে নিয়ে মৎস্য চাষ অব্যহত রেখেছি।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।