রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিনের দূতাবাসের সামনে পুলিশের এক সদস্য আরেক সদস্যকে গুলি করেছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. মুনিরুল। তিনি কনস্টেবল পদে নিয়োজিত। ঘটনাস্থলে তার লাশ পড়ে রয়েছে। এ সময় এক পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাত (৯ জুন) সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ সূত্র থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল কাওসার আলী। তিনি এখনও বন্দুক তাক করে রেখেছেন বলে জানা গেছে। তারা দুজন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে কেন বা কী কারণে এমন ঘটনার সৃষ্টি, এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ড রুমে কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার কর্মরত ছিলেন। কাউসারের ছোড়া গুলিতে সড়কে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় জাপানি দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিনটি গুলি লাগে। আহত সাজ্জাদকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার বারিধারায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এক পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে পুলিশেরই এক সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, 'সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। কিন্তু ওই পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকায় তার সামনে যেতে পারছেন না অন্য পুলিশ সদস্যরা।'
এ ঘটনার পর পর পুলিশের গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে আত্মসমর্পণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট যাচ্ছে বলে জানা গেছে।