নোয়াখালী সংবাদদাতা:
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের গোপীবল্লভপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নাজমুন নাহার। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামির বরাতে পুলিশ বলছে, চুরি করতে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় নাজমুন নাহারকে। তাদের চিনে ফেলায় পরে করা হয় ছুরিকাঘাত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর ওই দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার রাতে নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও মো. নিজাম উদ্দিন শান্ত (২৫) নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা দুজনই পেশায় রিকশাচালক।
ডিবি জানায়, তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাসহ ভিকটিমের কাছ থেকে লুট করা একজোড়া স্বর্ণের দুল, একজোড়া রুপার নুপুর ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ওসি মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন এসব কথা। তিনি বলেন, ১১ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. নুরুল আমিন বাদী হয়ে সুধারাম থানায় মামলা করেন। পরে ক্লু-লেস মামলাটি গত ৩০ জানুয়ারি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরও বলেন, নাজমুন নাহারের স্বামী মো. নুরুল আমিন কবিরহাটের রামেশ্বরপুর গ্রামে নার্সারিতে চাকরি করেন। বাড়িতে একা থাকার সুবাদে ঘটনার রাতে রিকশাচালক দুই বন্ধু জাহাঙ্গীর ও নিজাম চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকেন। মূল্যবান কিছু না পেয়ে নাজমুন নাহারের গলায় ছুরি ধরে কানের দুল, নুপুর, নাকফুল ও মোবাইল লুট করেন। তাকে ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর। আসামিদের চিনে ফেলায় নাজমুন নাহারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন আসামিরা। বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে তারা জবানবন্দি দিয়েছেন।