সরবরাহ বৃদ্ধি করে দেশের বাজারে চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার। আর মোট শুল্ক-কর মাত্র দুই শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এনবিআর থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা এবং রেগুলেটরি শুল্ক বা আরডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার ওই শুল্কও প্রত্যাহার করা হলো।
এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চালের ওপর সমুদয় আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তিনি আরও বলেন, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯.৬০ টাকা কমবে। সমুদয় আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।