বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে মেট্রোরেল। রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনটি মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি-৬) অতিরিক্ত পরিচালক জাকারিয়া বলেন, সকাল থেকেই নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
এদিকে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। রবিবার সকালে মিরপুর ১১ নম্বর ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেল। মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা ডা. শেখ মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমি নিয়মিত মতিঝিল যাই মেট্রোতে করে। এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। মাঝখানে বন্ধ থাকায় বেশ ঝামেলা হয়েছে। বাসে যেতে দীর্ঘ সময়, যানজট। এখন আবার ট্রেন চালু হওয়ায় আমাদের ভোগান্তি কমল।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনে। এরপর থেকেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ‘বৈষম্যহীন’ বেতন কাঠামোসহ ছয় দাবিতে ৮ অগাস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন মেট্রোরেলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। তারা গত মঙ্গলবার কাজে ফেরেন।
গত ১১ অগাস্ট মেট্রোরেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মেট্রোরেল পুরোদমে চালুর আগে পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর প্রস্তুতি চলছে। আর পরীক্ষামূলক চলাচল শেষে ১৭ অগাস্ট থেকে তা চালু করতে কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রেল চালুর জন্য কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর শনিবার ১০টি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এর একদিন পর শুরু হলো ট্রেন চলাচল।