স্টাফ রিপোর্টার:
সরকার জলাভূমি ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। আজ বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন ইন দ্যা কনটেক্সট অফ ক্লাইমেট অ্যান্ড আদার ভালনারেবিলিটি’ বিষয়ক কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স-বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মন্ট্রিলে গৃহীত কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের জাতীয় জীব-বৈচিত্র্য কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা আপডেট করার জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০, আপডেট করা এনডিসি ২০২১, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ তৈরি করেছে যা জলাভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার এবং তাদের বাস্তুতন্ত্রের ব্যবহারকে উন্নীত করার ওপর জোর দেয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রইস হাসান সরোয়ার। কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে যথাক্রমে ‘রেস্টোরেশন অব ওয়েটল্যান্ড ইকোসিস্টেম’ এবং ‘রেস্টোরেশন অব ফরেস্টস অ্যান্ড কোস্টাল ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম’ প্রতিপাদ্যের ওপর আজ দুটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে ‘মিন্স অব ইমপ্লিমেন্টেশন, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড এক্সপেরিয়ান্স শেয়ারিং’ থিমের ওপর একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশনের পর দুই দিনের এ কর্মশালা আগামীকাল সমাপ্ত হবে।
তুরস্ক, থাইল্যান্ড, কিরগিজস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন সিআইসিএ দেশের প্রতিনিধিত্বকারী নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা কার্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।