গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুই দলই জয়ের দেখা পায়নি। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে ১-৪ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। অন্যদিকে শক্তিশালী ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তিউনিসিয়া। আজ ৭ম ম্যাচে আল জানুব স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলেও ১-০ গোলে হেরেছে মুনজির কিবাইর শিষ্যরা।
কাতার বিশ্বকাপের ৭ম ম্যাচে আল জানুব স্টেডিয়ামে মাঠে নামে তিউনিসিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ব্যাস্ত হয়ে থাকলেও কেউই কারো গোলে শট নিতে পারছিলেন না। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে দুই দল সমানে সমান মাঠে আধিপত্য বিস্তার করে।
তবে ২১ মিনিট সময়ে প্রথম একটি সুযোগ আসে অস্ট্রেলিয়ার। ফাইনাল থার্ডে জায়গা পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকেই শট নিয়েছিলেন ড্রাগার। কিন্তু বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
এরই দুই মিনিট পর চমৎকার হেডে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নেন মিচেল ডিউক। বাঁম দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে গোলপোস্টকে পেছনের দিকে রেখে এবং না তাকিয়েই নিখুঁত হেড করেন এই ফরোয়ার্ড।
অপরদিকে সমতায় ফিরতে তিউনিসিয়া ৪০ মিনিটে পায় দারুণ সুযোগ। কিন্তু অভেদ্য অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেননি মোহাম্মদ ড্রেগার। নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন প্রহরী কায়ে রোলস। না হলে ১-১ গোলে সমতায় ফিরতে পারত তিউনিসিয়া।
একইভাবে ৪৭ মিনিটেও গোলের সুযোগ মিস করে তিউনিসিয়া। শেষ পর্যন্ত ১-০ তে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে তিউনিসিয়া
অপরদিকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে ম্যাচের ৫০ ও ৫২ মিনিটে পরপর দুটি ফ্রি কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তিউনিসিয়া। প্রথম ফ্রি কিকটি সেভ করেন অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক রায়ান। তবে শুরুতে এলোমেলো খেলা তিউনিস শিবির। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু করে গোছনো খেলা। এতে বেশ কয়েকটি সুযোগ তাদের ডেরায় এলেও একটিও কাজে লাগাতে পারেনি।
তবে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ডিউকের সামনে আরেকটি গোলের সুযোগ এসেছিল। এবারের হেডারটি মিস করেন তিনি। পরে ৪ মিনিটের মাথায় পাল্টা সুযোগ পায় তিউনিসিয়া। ডি বক্সের বাইরে থেকে বদলি খেলোয়ার সেসি ডান পায়ের শটটি গোলবার মিস করে।
এছাড় গোলের দেখা পেতে মরিয়া তিউনিসিয়ার স্ট্রাইকাররা থেমে থাকেননি। আঘাতের পর পাল্টা আঘাত হানেন অস্ট্রেলিয়া শিবিরে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ডিফেন্স খেলা অস্ট্রেলিয়া তিউনিসদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। যার ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোল খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল সকারুসরা।