খেলারপত্র ডেস্ক:
টেস্টের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে ১ রানের অবিশ্বাস্য জয় মঙ্গলবারের আগে সবশেষ দেখা গিয়েছিল তিন দশক আগে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা ওয়েলিংটন টেস্ট একই ব্যবধানে জিতে বিরল ঘটনার জন্ম দিল নিউ জিল্যান্ড। ফলো-অনে পড়ার পর কোনো দলের ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন জয়ের কীর্তি, সহজে ভোলার নয় বলে মনে করেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি।
নাটকীয়তার নানা মোড় পেরিয়ে বেসিন রিজার্ভে মঙ্গলবার শেষ দিনে ইংলিশদের ১ রানে হারায় নিউ জিল্যান্ড। ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সফরকারীদের ২৫৬ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা।
শ্বেতশুভ্র পোশাকে, ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে সবচেয়ে কম রানের জয়ের মাত্র দ্বিতীয় কীর্তি এটি। আগেরটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের; ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেইডে অস্ট্রেলিয়াকে ১৮৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১ রানে হারিয়েছিল তারা।
ওয়েলিংটন টেস্ট জিতে পরিসংখ্যানের আরেকটি পাতায়ও নাম উঠেছে নিউ জিল্যান্ডের। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪৩৫ রানের জবাবে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে তারা। সেখান থেকে অভাবনীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮৩ রান করে প্রতিপক্ষকে ছুঁড়ে দেয় বড় লক্ষ্য।
ইতিহাসের তৃতীয় দল হিসেবে ফলো-অনে পড়ার পর টেস্ট জয়ের কীর্তি গড়ল নিউ জিল্যান্ড। সবমিলিয়ে এমন ঘটনা দেখা গেল স্রেফ চারবার। ফলো-অনে পড়ার পর দুইবার জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের, ১৮৯৪ ও ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই এভাবে জিতেছিল ভারত।
ইংলিশদের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এই জয়ের আনন্দে আত্মহারা সাউদি। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, এই ম্যাচ দীর্ঘ দিন মানুষের মনে থাকবে। “আমার মনে হয়, উত্তেজনা থিতিয়ে যাওয়ার পর হয়তো এমন জয়ের মাহাত্ম উপলব্ধি করা যাবে। ফলো-অনে পড়ার পর স্রেফ চতুর্থ (তৃতীয়) দল হিসেবে টেস্ট ম্যাচ জয়ের এই অর্জন ভুলে যাওয়া খুব কঠিন।”
“অনেকগুলো ক্লোজ ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে (পাকিস্তানের বিপক্ষে) বোধহয় ৩ বা ৪ রানে জিতেছিলাম। চমৎকার কিছু ম্যাচ আছে, যেগুলোর অংশ ছিলাম আমিৃআমার মনে হয়, দুর্দান্ত এই টেস্ট ম্যাচটি নিয়ে অনেকদিন কথা হবে।”
টেস্টে ১০ রানের কমে জয় আছে মোট ১১টি। যে তালিকায় এ নিয়ে তিনটি নিউ জিল্যান্ডের। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবু ধাবিতে ৪ রানে জিতেছিল তারা। এর আগে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোবার্ট টেস্টে তাদের জয় ৭ রানে।