Date: November 23, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / জাতীয় / নির্বাচনের আগে পার্বত্য অঞ্চল পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় ইইউ

নির্বাচনের আগে পার্বত্য অঞ্চল পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় ইইউ

July 10, 2023 11:57:29 AM   স্টাফ রিপোর্টার
নির্বাচনের আগে পার্বত্য অঞ্চল পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয় সপ্তাহ অবস্থান করে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি যাচাই করতে চান জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা দলটি। আজ সোমবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউয়ের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছে সহায়তা চাচ্ছেন। আমরা বলেছি সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় যাওয়ার বিষয়ে বলেছেন। বিষয়টি দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমরাও দেখব। আমাদের দিক থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বলেছি। নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং তাদের থাকা, পরিদর্শন করা বা চলাচল করার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা আমরা দেব। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি এটা যেহেতু নির্বাচনকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ তাই এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে। তাদের পর্যবেক্ষণের বিষয়টি আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচনের আগে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে চান। তারা নির্বাচনকালীন সময়ে আসবেন। আমাদের দিক থেকে জানিয়েছি, সেখানে বিশেষ তিনটি জেলায় কিছু নিরাপত্তা ইস্যু আছে। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ওই তিন জেলার ২৬টি উপজেলা, ১২২টি ইউনিয়ন ও প্রশাসনিক বিষয়ে আমরা তাদের জানিয়েছি। এ বিষয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, তারা সরকারের আমন্ত্রণে নির্বাচনের ব্যাপারে পর্যবেক্ষক হিসেবে এসেছেন। যেহেতু এটা নির্বাচনকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে তাদের যাবতীয় পরামর্শ দেবে নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী রয়েছে। সুতরাং তারা যেন নিরাপত্তার ইস্যুটি মাথায় রাখেন সেটিও বলেছি।