ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশের পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি যেকোনো ধরনের বিনিয়োগ আনতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাল্টিপারপাস হলে ‘টেকসই অনুশীলন এবং অব্যবহৃত বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ডিএসই ও ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার আব্দুল হালিম।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান।
প্রবন্ধে তিনি, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি, বিজনেস সাসটেনেবিলিটি, সাসটেনেবিলিটি ডেভেলপমেন্ট গোলসমূহ, এনভারমেন্ট, সোশ্যাল, গর্ভন্যান্স (ইএসজি) এর বিষয়সমূহ, সাসটেনেবিলিটি প্রাকটিসের নীতি উদ্দেশ্য ও মূল উপাদান, টেকসই বিনিয়োগ ও অনুশীলনের সুবিধা, গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভস (জিআরআই), ডিএসই-জিআরআই এর সহযোগিতা, টেকসই রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে ডিএসই এবং জিআরআই এর উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে সাসটেইনেবল রিপোর্টিং এর প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে অধিকতর সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাজিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিবিএর প্রেসিডেন্ট রিচাড ডি রোজারিও বলেন, বিশ্বায়নের ফলে আজ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রকৃতি ও ধরন পাল্টেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিনিয়োগের সুবিধা পেতে বাজারে আসছে। বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফলে বাজারে পণ্য বৈচিত্র এসেছে। এর ফলে যেমন বাজার বড় হচ্ছে তেমনি ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে বাড়তি সাবধানতা ও সতর্কতা থাকা একান্ত দরকার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার মুখী হবেন।
বিএসইসির এ কমিশনার বলেন, বুঝেশুনে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। যারা অন্যের কথায় উৎসাহিত হয়ে বাজারে বিনিয়োগ করেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। সকলকে সাথে নিয়ে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তবেই স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গড়ে তোলা সম্ভব।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে গেলে স্থিতিশীল বিনিয়োগ দরকার, যেটি বর্তমান সরকার করে যাচ্ছে। যে কোনো দেশের বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করার আগে সুশাসনসহ বিভিন্ন বিষয় লক্ষ্য করেন এজন্য বিদেশে বিনিয়োগ আনতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী, ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুদ্দিন, জিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ড. অদিতি হালদার এবং সিএমজেএফ'র প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।