পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তিনটি ইট ভাটার বিশাক্ত কালো ধোয়ায় ও গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ঝলসে ক্ষতি হওয়ায় অর্ধশত ক্ষুদ্র ও মাজারি কৃষক ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর গত শুক্রবার ১০ মে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষক, থানা পুলিশ টিম ও গণমাধ্যম কর্মি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৯ মে পরিদর্শন করেন কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, উপজেলার পৌর শহরের গুয়াগাঁও এলাকায় ফসলি জমির সাথে ঢাকাইয়া শাহজাহান, বেলাল হোসেন ও আকবর আলী নামে ৩ ব্যক্তি ৩ টি পৃথক ভাবে পাশাপাশি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এসব ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় আর গরম বাতাসে ধান ক্ষেত ফসল, ও ফল বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অর্ধশত কৃষকের প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ক্ষেত ঝলসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৮ই মে ইউএনওর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছন। এখন ফসল হারানোর শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষকরা জানায়, ধার দেনা ও ঋণ করে বোরো ধান ক্ষেত আবাদ করেছেন। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার সময়। এ সময়ে ইটভাটার ধোয়ায় ধানের গাছের পাতা ঝলসে হলুদ হয়ে গেছে। যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার বেশিরভাগই চিটা হয়ে গেছে। ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। এলাকার সচেতন মহল জানায় ফসলি জমির ওপর অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাবড়ানোর আহবান জানান।
এদিকে ইউএনও রমিজ আলমের নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নেহাররঞ্জন রায় জানান।
ইটভাটার মালিকেরা জানান, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ইট ভাটার ব্যবসা চালিয়ে আসছি। এখন ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ করেছেন কৃষকেরা তাই তদন্ত করে কি রিপোর্ট হয় তা জানার অপেক্ষা রয়েছি।
ইউএনও রমিজ আলম জানান, সরজমিনে দেখলাম। এর রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে।