পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে, আর ঘন কুয়াশার চাদরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা। সূর্যের দেখা মিলছে না।
ঘন কুয়াশার কারণে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভোরবেলা যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেও ঠাণ্ডার হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তারা।
শীত উপেক্ষা করেও খেটে খাওয়া মানুষ রুটি-রোজগারের সন্ধানে ছুটছে। তাদের অভিযোগ, শীত নিবারণে বা সহায়তা প্রদানে তাদের পাশে কেউ নেই। এলাকার বিত্তবানদেরও তারা পাশে পাচ্ছেন না।
পীরগঞ্জ উপজেলায় শীতের প্রকোপ প্রতিবছরই বেশি থাকে। তবে এ উপজেলায় কোনো আবহাওয়া অফিস নেই। ফলে তাপমাত্রা বা আবহাওয়াজনিত তথ্য জানতে পাশের জেলার ওপর নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় মুঠোফোনে জানতে হয় তাপমাত্রার খবর। এতে কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। গরিব ও অসহায় মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা উপকৃত হবেন।
উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, হিমালয়ের পাদদেশের নিকটবর্তী হওয়ায় পীরগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেশি। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্রের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
শীতের দাপটে বিপর্যস্ত এই উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।