পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর লাবণ্য আক্তার (৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ আখক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রিফাত ও হোসেন আলী নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রিফাত দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার জোতসাতনালা গ্রামের শহিদুলের ছেলে। তিনি ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং পীরগঞ্জে নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। অন্যদিকে, হোসেন আলী পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের আব্দুল খলিলের ছেলে।
পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের শিশু কন্যা লাবণ্য আক্তার কোষামন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৩ নভেম্বর বিকালে লাবণ্য নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যার আগে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়নের কাপড় দেখে লাশটি সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরণ করে।
লাবণ্যের পিতা বেলাল হোসেন এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
রিফাত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রিফাত জানায়, ঘটনার দিন শিশুটির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মারা যায়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে লাশ আখক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, হোসেন আলীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খলিলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করি।