ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি-জামায়াতে ডাকা তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, শ্রমিকরা নিরাপত্তার অভাবে বাস চালাতে রাজি না। একারণে বাস চলাচলে করছে না। তবে ময়মনসিংহ থেকে দুটি বাস কিশোরগঞ্জে এসেছে। কিশোরগঞ্জ থেকে একটি বাস ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন মানিক জানান, আমরা চেষ্টায় আছি বাস চালানোর জন্য। কিন্তু শ্রমিকরা নিরাপত্তার অভাবে গাড়ি চালাতে রাজি না। আজকে একটা গাড়ি রিজার্ভ গেছে নরসিংদীতে। ময়মনসিংহ থেকে দুটি গাড়ি এসেছে ও একটি গাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহে গেছে।
পুলিশ প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে রাস্তায় নিরাপত্তা দিবে। তারপরও শ্রমিকেরা নিরাপত্তার অভাবে গাড়ি চালাচ্ছে না। এজন্য আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। সারাদেশে কিছু শ্রমিক আগুন সন্ত্রাসের কারণে হতাহত হয়েছেন। তাই শ্রমিকদের দাবিটাও যুক্তি সঙ্গত। গাড়ি চালু হলে যাত্রী আসবে। সব যাত্রী স্ট্যান্ড থেকে উঠে এমন নয়। রাস্তা থেকেও অনেক যাত্রী বাসে উঠে। কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণে আমরা বাস চালু করতে পারছি না।
জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক খাইরুল ইসলাম রনি জানান, পুলিশ গাড়িতে লাঠিসোটা রাখতে বলে গেছেন। বাড়ি থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম। কাউন্টারও খুলেছি। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকদের কোনো নিশ্চয়তা নেই। একজন শ্রমিকের ওপর তার পুরো সংসার নির্ভর করে। সে শ্রমিক যদি করে পঙ্গু হয়ে যায় তার দায় কেনে কে?
আব্দুল খালেক নামের এক বাসচালক জানান, দূরপাল্লার বাসের ড্রাইভার আমি। বর্তমানে বাসটি বন্ধ রয়েছে। পরিবার নিয়ে চলা দায় হয়ে গেছে। আমার মতো হাজার হাজার শ্রমিক কিছু বলতে পারছেন না। কারো কাছে কিছু চাইতেও পারছেন না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, মঙ্গলবার পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন ও সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে মিটিং করছি। আমরা চাচ্ছি বাস চলুক। বাস চালাতে যে ধরনের নিরাপত্তার প্রয়োজন সেই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।