স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে শেখ কামাল ও তার পরিবারবর্গের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া বাদ জোহর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মসজিদে শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে শেখ কামালের কর্মময় জীবন স্মরণ করে ড. মোমেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এ দেশকে তিনি অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। মোমেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে, বিশেষ করে সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী হিসেবে, শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, শেখ কামাল অত্যন্ত ভদ্র ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার দুর্দান্ত বিচরণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতেন।
তিনি বলেন, তার সুন্দর আচার-ব্যবহারের কারণে সবার কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। আর অন্যের সহায়তায় তিনি সবসময় এগিয়ে আসতেন। ড. মোমেন বলেন, শেখ কামালের মধ্যে কোনোরকম অহংকার ছিল না। তিনি যে বঙ্গবন্ধুর ছেলে এটা কখনও বলে বেড়াতেন না। রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হয়েও তার মধ্যে এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যেত না। অগ্রজদের প্রতিও তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল অকৃত্রিম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ কামালের মতো অমায়িক ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্বকে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকেরা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মতো এধরনের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় না। এই হত্যাকাণ্ডে শুধু রাষ্ট্রপ্রধানকে নয় - তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের, আত্মীয়স্বজনদের তিন তিনটি বাড়ি থেকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করেছে খুনিরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড খুঁজে পাওয়া যায় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে পাঁচজন এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। আদালতের রায় কার্যকর করতে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া মাহফিলে শেখ কামালসহ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে শাহাদৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।