খেলারপত্র ডেস্ক:
ফুটবল উন্নয়নে ফিফা থেকে আগে ৩.৬২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নতুন খবর, বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার থেকে আরও ৩ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা) পাচ্ছে বাফুফে। মঙ্গলবার দুপুরে বাফুফে ভবনে ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা হয়। আতাউর রহমান মানিক মিটিংয়ের পরে বিষয়টি সামনে তুলে ধরেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামে টার্ফ পরিবর্তন এবং পরিকল্পনাধীন কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টার্ফ স্থাপনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের আওতায় আমরা আরো ৩ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছি। এর মধ্যেই ফিফার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় ছিল কমলাপুরের টার্ফ। ফিফা থেকে পাওয়া ওই অর্থ দিয়ে যে আর্টিফিসিয়াল টার্ফ রয়েছে সেটি ঠিক করবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সহ-সভাপতি। মানিক বলেন, ‘বাফুফের টার্ফের অবস্থা খুবই খারাপ। ওই (ফিফা থেকে প্রাপ্ত) টাকা থেকে আমরা আমাদের দুইটা টার্ফ ঠিক করব। এরপরের বাকি টাকা দিয়ে আমাদের যে প্রোগ্রাম আছে, কক্সবাজারের একাডেমির বাফুফের প্রোগ্রাম সেটা আমরা শুরু করব। কমলাপুরের টার্ফে অনেক টুর্নামেন্ট হয়েছে, এএফসি, সাফেরৃ সেখানে মাঠের অবস্থা ভালো না, সেটা তারা জানে। তারাই আমাদের পরামর্শ দিয়েছে যে, তোমরা টার্ফ দুটো পরিবর্তন করতে পারো, বাকি অর্থটা তোমরা কক্সবাজারে ব্যবহার করতে পারো।’
কক্সবাজারে বাফুফের যে একাডেমি রয়েছে সেখানে কাজ করতে হলে আগে কনসাল্টেন্ট প্রয়োজন। ফিফা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সেখানে কনসাল্টেন্ট নিয়োগ দেবে বাফুফে। মানিক বলেন, ‘কনসাল্টেন্ট নিয়োগ করতে হবে, পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য; ডিজাইনার নিয়োগ করতে হবে। আজকে বোর্ডে উপস্থাপন করব, এবং বোর্ড অনুমোদন দিলে তাৎক্ষণিক আমরা কাজ শুরু করব।’
কনসাল্টেন্ট নিয়োগের পাশাপাশি কক্সবাজারে যে কাজ রয়েছে সেগুলো করতে হলে আগে উন্মুক্ত দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে বাফুফেকে। সেটি মাথায় রয়েছে ফেডারেশনের। মানিক আরও জানান, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এগুলো করতে হবে। দরপত্র প্রক্রিয়া, কনসাল্টেন্ট নিয়োগ, পরিবেশ সংক্রান্ত কনসাল্টেন্ট নিয়োগ, এগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার; আজ যদি বোর্ড অনুমোদন দেয়, তাহলে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবো।’