খেলারপত্র ডেস্ক:
তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দল লড়ছিল ফারজানা হক ও ঋতু মণির ব্যাটে। কিন্তু এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর রীতিমতো হুরমুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে টাইগ্রেসদের ব্যাটিং লাইন আপ। ফলফল আশা জাগিয়েও আরেকটি হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হলো স্বাগতিকদের।
ভারতের দেওয়া ২২৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২০ রান তুলতেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আর সেই সুবাদে ১০৮ রানের বড় জয়ের পাশাপাশি সিরিজে সমতায় ফিরলো সফরকারীরা।
ভারতের ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় হোঁচট খায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। ব্যর্থ হন লতা মন্ডলও। ৯ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে।
৩৮ রানে তিন অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে শক্ত হাতে হাল ধরেন ফারজানা ও ঋতু মিলে। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যটিংয়ে ট্র্যাকে ফেরে টাইগ্রেসরা।
এই দুজনের অবিচ্ছেদ্য ৬৮ রানের জুটিতে ভর করে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে ফারজানা ও ঋতু বিদায় নিলে বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। চোখের পলকে বল চলে যায় ভারতের কোর্টে। ১০৬ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর বাকি পাঁচ ব্যাটার মিলে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন মাত্র ১৪ রান। জেমিনাহ রদ্রিগেজ ও দেবিকা ভৈদ্যর বোলিং তোপে ১২০ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা। এর আগে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টাইগ্রেস পেসারদের তোপের মুখে পরে ভারতের টপ-অর্ডার।
দিনের শুরুতেই ভারতের শিবিরে আঘাত হানেন পেসার মারুফা আক্তার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে প্রিয়া পুনিয়াকে ফেরানোর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মারুফা। টাইগ্রেস পেসারের তোপে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতীয় এই ওপেনারকে। মাত্র সাত রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় প্রিয়াকে। এতে করে ১৭ রানেই পতন ঘটে সফরকারীদের প্রথম উইকেটের।
দ্রুত উইকেট পতনের রেশ কাটাতে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন স্মৃতি মান্ধানা ও ইয়াতিশকা ভাটিয়া। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মারুফার শিকার হন ভাটিয়া। রান আউট হয়ে ১৫ রানে তাকে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ঘরে লড়াই চালিয়ে যান অভিজ্ঞ ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। কিন্তু ৫৮ বলে ৩৬ করে রাবেয়ার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ফলে স্কোরবোর্ডে ৬৮ রান তুললেই তিন উইকেট হারায় ভারতের।
বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত ও জেমিনাহ। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দল। জেমিনাহর ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আর ৮৮ বলে ৫২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন কৌর।
এই দুই ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অল্পতেই আটকে দেয়ার চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে স্বাগতিকদের সামনে ২২৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আকতার। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান।