স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাধীনতার পর থেকে হাজার-হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য বাড়ছে। প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হলে ইবতেদায়ি প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইবতেদায়ি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের নেতারা। লিখিত বক্তব্যে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমি আগে মুসলমান পরে বাঙালি, মক্তবের শিক্ষাই হলো বুনিয়াদি শিক্ষা। মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না। সেই বঙ্গবন্ধুর দেশে শিক্ষায় বৈষম্য থাকতে পারে না। ৫০০ টাকা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা শুরু হয়েছে। হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলেও একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ হয়নি। তাই ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের দাবি জানাই।
বক্তারা বলেন, প্রায় ৪৩১২টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে স্কেল অনুযায়ী বেতন প্রদানের জন্য শিক্ষা সচিব, শিক্ষা উপমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এমপিও প্রদানের নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ ৩৯ বছরে একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকেও এমপিও/বিল প্রদান করা হয়নি। অবিলম্বে সকল রেজিস্ট্রার ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে এমপিও বিল প্রদানের আওতাভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানাই। তাছাড়া বন্ধ রাখা উপবৃত্তি অবিলম্বে চালু করার জন্য দাবি জানান তারা।
সংগঠনের নেতা হাফেজ মাওলানা আহমাদ আলীর সভাপতিত্বে ও মো. রেজাউল হকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. একে এম মাহবুবর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ড. মো. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ড. মো. শহিদুল হক, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, ড. এম আব্দুল আজিজ, ড. মোরশেদ আলম সালেহী, ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, ড. মো. ইদ্রিস আলী, ড. এমরানুল হক, ড. ইব্রাহিম খলিল আনোয়ারী, ড. মাসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ বদিউল আলম সরকার, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, মাও. মোহেব্বুল্লাহ জামি, মাও. মো. মোসলেহ উদ্দিন, মাও. শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম, মো. রেজাউল হক প্রমুখ।