১৬ বছরের নিচের বয়সী কাউকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। এই বয়সের কম মোবাইল ব্যবহারকরীরা অজান্তেই অনেক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাঁচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ বয়সী ছেলে-মেয়েদের কোনটা ভালো, আর কোনটা খারাপ, সেটি বোঝার সক্ষমতা থাকে না। যেসব শিশু মোবাইলে আসক্ত তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
বিশ্ব শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বিএসএমএমইউ'র পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের আয়োজনে ‘শিশু স্বাস্থ্য, বিকাশ ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিশুরা একবারে মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে পারবে না। এজন্য তাদের দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা তবে একটানা আধাঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বা দেখা যাবে না। এটি করতে পারলে হয়তো সোশ্যাল মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাবিউজ থেকে রক্ষা পেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক কোনো অ্যাবিউজ করলে তা ধরা যায়, ধরা পড়লে বিচার হবে। এটি প্রচার করতে পারলে শিশুদের ইন্টারনেট তথা সাইবার অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।’ এ ছাড়া শিশুদের সুরক্ষায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান বিএসএমএমইউয়ের উপাঁচার্য। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কোথায় লাইক, কমেন্ট করা যাবে সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সাইবার অপরাধ দমনে সচেতনতার বিকল্প নেই।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ'র প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন-বিএসএমএমইউ'র পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আযীম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফ হক খান।