স্টাফ রিপোর্টার:
২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের অধীন ‘ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় স্থগিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (অর্থ বিভাগ বাজেট অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সূত্রোক্ত পরিপত্রে পরিচালন বাজেটের অধীন ‘৪১৪১১০১ ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার প্রেক্ষিতে এ খাতে অর্থ ব্যয়ে মাঠ পর্যায়ে সৃষ্ট অস্পষ্টতা নির্দেশক্রমে নিম্নোক্তভাবে স্পষ্ট করা হলো-
(ক) সূত্রোক্ত পরিপত্রটি শুধুমাত্র পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। উন্নয়ন বাজেটের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ওই পরিপত্র প্রযোজ্য হবে না।
(খ) ওই পরিপত্র জারির আগে, অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের আগে পরিচালন বাজেটের বরাদ্দ থেকে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক জেলা প্রশাসকের অনুকূলে এল.এ কেসের বিপরীতে অর্থ ছাড় হয়ে থাকলে, শুধুমাত্র সেই সব এল.এ কেসের বিপরীতে অর্থ ব্যয় চলমান থাকবে।
এদিকে গত ১২ ডিসেম্বর জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছসাধনের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ থেকে ইতোপূর্বে জারিকৃত স্মারক ও পরিপত্রের অনুবৃত্তিক্রমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবন্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাজেটের নিম্নবর্ণিত খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় স্থগিত/হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
(ক) পরিচালন বাজেটের অধীন ‘৪১৪১১০১ ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
(খ) পরিচালন বাজেটের অধীন ভবন ও স্থাপনার (৪১১১১০১ আবাসিক ভবন, ৪১১১২০১ অনাবাসিক ভবন, ৪১১১৩১৭-অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে নতুনভাবে কার্যাদেশ দেওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র এরূপ ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না।
(গ) পরিচালন বাজেটের আওতায় ‘যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি’ (৪১১২২০২- কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ৪১১২৩০৩-বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, ৪১১২৩১৪-আসবাবপত্র ও ৪১১২৩১৬ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে।
উপরের ‘ক, খ ও গ’-এ বর্ণিত খাতগুরোতে বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনো খাতে এবং অন্য কোনো খাত থেকে এসব খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না।