Date: November 22, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / বিনোদন / ভালোবাসা দিবসে তারকাদের মনের ভাবনা

ভালোবাসা দিবসে তারকাদের মনের ভাবনা

February 14, 2023 09:08:20 PM   ডেস্ক রিপোর্ট
ভালোবাসা দিবসে তারকাদের মনের ভাবনা

রূপালি জগৎ ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী পালিত হলো ভালোবাসা দিবস। বিশেষ এই দিনটিকে নানা জন নানাভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারকাদের চোখে ভালোবাসা দিবস আসলে কী?  সেটা জানাতেই পাঠকের সামনে তারকাদের ভাবনা উপস্থাপন করা হলো-

অপু বিশ্বাস:
ভালোবাসা দিবসটা সাদামাটা জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। ছেলে আব্রাম খান জয়কে বিশেষ এ দিনটি দিতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। তার কাছে ভালোবাসা মানেই ছেলে জয়। অপু মনে করেন, তার থেকেও সবাই তার ছেলেকে বেশি ভালোবাসেন। এদিন বসন্তের শাড়ি পড়বেন শাকিব খানের প্রাক্তণ স্ত্রী।

জয়া আহসান:
কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!
ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা— ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

নুসরাত ফারিয়া:
ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা। ভালোবাসা আস্থার, ভালোবাসা সম্মানের, ভালোবাসাটা আদরের। শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধের নামই ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। মানুষকে সম্মান দেওয়া, বিশ্বাস অর্জন করা ভালোবাসার অংশ। ভালোবাসা যেমনি হোক তারমধ্যে থাকা চাই আস্থা, সম্মান আর বিশ্বাস। একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। দূরে থাকলেও যেন মনে হয় এই তো কাছাকাছিই আছি।
অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি বেঁচে থাকলেও ভালোবাসা ছাড়া মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। তাই বেঁচে থাকার জন্য মানুষের ভালোবাসা খুব দরকার হয়। মানুষের জীবনে একজন দরকার যাকে ভালোবাসতে হয় এবং তার কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা থাকে। তবে সর্বোপরি এ ভালোবাসায় থাকতে হয় শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ। সম্মানবোধ ও শ্রদ্ধা না থাকলে মুখে মুখে ভালোবাসা দিয়ে কাউকে সুখ দেওয়া যায় না।

পূজা চেরী:
ভালোবাসার মানুষটা পাশে থাকলে আমার ভালো লাগবে এবং তার দিকে তাকিয়ে থাকলেও আমার মন ভালো লাগবে। এক ধরনের মায়া বলা যেতে পারে। আমার কাছে ভালোবাসা মানে হচ্ছে এক ধরনের পাগলামি। বিশেষ মানুষটার জন্য সবসময় মন কাঁদবে, তার হাসিতে আমার মন আনন্দে আত্মহারা হবে। ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। তারপরও ১৪ ফেব্রুয়ারি একটা বিশেষ দিবস।
কিন্তু আমার মনে হয়, ভালোবাসার মতো ভালোবাসা যদি দুজনের মধ্যে থেকে থাকে তবে ৩৬৫ দিনই ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার মানুষ সম্পর্কে বলতে গেলে সে কখনো আমার অভিভাবক, আবার আমি কখনো তার অভিভাবক। দুজনের মধ্যে যখন কোনো কিছুরই ঘাটতি থাকবে না, তবেই মনে হয় ভালোবাসাটা ভালোবাসার মতো হবে।

বিদ্যা সিনহা মিম:
আমার কাছে ভালোবাসা মানে হচ্ছে বিশ্বাস, সম্মান আর যতœশীলতা। ভালোবাসা হৃদয়ের একটি অনুভূতি। যাতে থাকে দায়বদ্ধতা। একজন আরেকজনকে সম্মান দেখানো। সুখে-দুঃখে পাশে থাকা। খারাপটাকে পেছনে ফেলে ভালোকে গ্রহণ করা। আর ভালোবাসা মানে একদিনের জন্য অনেক কিছু করা নয় বরং প্রতিদিন ভালোবাসার মানুষকে মনে করাও ভালোবাসা।
ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হয়। বাবা-মায়ের প্রতি এক রকম, বন্ধুদের জন্য আরেক রকম। ভালোবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনই ভালোবাসা যায়। এমন তো না যে, শুধু একটা দিনই আমরা ভালোবাসা প্রকাশ করছি। তারপরও ভালোবাসার বিশেষ দিন হিসেবে একটি বিশেষ দিন বা তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে।

সাইমন সাদিক:
ভালোবাসা মানে জীবন, ভালোবাসা মানে সুন্দর, ভালোবাসা মানে বেঁচে থাকা, ভালোবাসা মানে পৃথিবী, ভালোবাসা মানে নিঃশ্বাস। বিশেষ একটি দিন হয়তো আমরা ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদযাপন করি। কিন্তু মানুষ প্রতি মুহূর্তেই বাঁচে ভালোবাসার জন্য। ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। ভালোবাসার জন্যই মানুষ এত কিছু করে। একটা মানুষও নেই যে, পৃথিবীতে ঘৃণার জন্য বাঁচতে চায়, সবাই ভালোবাসা চায়। একটা খারাপ মানুষও কিন্তু ভালোবাসা চায়।
একেক জনের দৃষ্টিকোণ একেক রকম। এ ভালোবাসা শুধু মানুষে মানুষে নয়। সব জীব ও জন্তুর প্রতিও হতে পারে। ভালোবাসা হবে নিখুঁত। যেখানে থাকবে সম্মানবোধ। কোনো প্রতারণা থাকবে না। আমি মনে করি, ভালোবাসা এক দিনের জন্য নয়। এক দিনে দেখানোর মতো ভালোবাসা বলতে কিছু নেই। প্রতিনিয়ত ভালোবাসতে হয়। ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা জয় করতে হয়।

নিরব:
ভালোবাসা হচ্ছে কোনো কাজ বা মানুষ, যেটার প্রতি মনসংযোগ বা ঘনিষ্ঠতা থাকে সবচেয়ে বেশি। আবার ভালোবাসার মানুষ না থাকলেও কাজের প্রতি কারও আসক্তিই তার ভালোবাসা। কাজটা এমনই ব্যাপার, যেটাতে আমি নিজেকে যুক্ত করেছি বা যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছি। ভালোবাসা তো দেখা যায় না, এটা অনুভবের ব্যাপার। এটা যার যার ওপর নির্ভর করে।