ডেস্ক রিপোর্ট:
রংপুরে সংস্কৃতিকর্মী রোমান সরকারকে হত্যার দায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর পশ্চিম জুম্মাপাড়া মারুয়াপট্টি এলাকার হাফেজ আলীর ছেলে মো. আনিছ, মো. আশরাফুল, মো. আতারুল, মো. আমিনুল ওরফে বুদ্ধা, মো. আলামিন, জয়নালের ছেলে মো. খোকন ওরফে পাকনা খোকন, খয়ের মুন্সির ছেলে মো. মোজাম্মেল এবং কাওসারের ছেলে নুরুন্নবী। রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাতজন আসামি উপস্থিত থাকলেও নুরুন্নবী নামে একজন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর পশ্চিম জুম্মাপাড়া এলাকার ভাইবোন নাট্যগোষ্ঠীর সংগঠক রোস্তম সরকারের বড় ছেলে সংস্কৃতিকর্মী রোমান স্থানীয় মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এক সময় পুলিশ আসামিদের মাদকসহ গ্রেপ্তার করলে এ ঘটনায় রোমানের সহযোগিতা রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করে। পরবর্তীতে আসামিরা রোমানের পরিবারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে।
২০০৯ সালের ২২ জুলাই সন্ধ্যায় রোমান বাজার করতে গেলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা থেকে তাকে কৌশলে চিড়িয়াখানার প্রাচীরের কাছে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রোস্তম আলী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সোমবার আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। অনাদায়ে আর ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পলাতক আসামি নুরুন্নবীকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক বলেন, বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। তারা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, আদালতের এ রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।