ডেস্ক রিপোর্ট:
যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
আজ(১৫ আগস্ট) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রিয়াদস্থ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত আলোচনার শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতা ছিলেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তির মহানায়ক। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামসহ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ জন্ম নেয়।
তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ আমাদের সব স্বাধিকার আন্দোলনে জাতির পিতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে, বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত ও দীক্ষিত করে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর মধ্যে তার ভাষণ অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের ইতিহাস জানার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তার জীবনী পাঠ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন।
আলোচনা সভায় জাতির পিতার জীবন ও ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।