খেলারপত্র ডেস্ক:
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তখন দায়িত্ব নিয়েছেন কেবল দুদিন হবে। দুই দলে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলো বাংলাদেশ দল। সবকিছু শেষ করে হাথুরুসিংহে মাঠেই বসে গেলেন বৈঠকে। চেয়ার পেতে ছয় ক্রিকেটারকে নিয়ে বসেছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান তখন দলের সঙ্গে যোগ দেননি। এর বাইরে তিন সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন। তাদের সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তও। তাদের নিয়ে বসে একটি বার্তাই হয়তো দিতে চেয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। মঙ্গলবার সুযোগ পেয়ে তাকে প্রশ্নটি করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের হেড কোচ হয়ে আসার ব্যাপারে অনেক কথাই বলেছেন হাথুরু। এর মধ্যে ছিল দেশি কোচদের উন্নতির মতো ব্যাপারও। ওই বৈঠকের কথা তুলে ধরে হাথুরুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি দলের ভেতর নতুন নেতৃত্বও তৈরি করতে চাচ্ছেন?
তিনি বলেছেন, ‘এটা (নতুন নেতৃত্ব) চ্যালেঞ্জ না, দায়িত্ব। আমরা জানি চারজন সিনিয়র ১৫-১৭ বছর ধরে খেলছে। তারা আরও ১০ বছর খেলবে না। আমাদের এখনই পরের প্রজন্মের নেতৃত্ব তুলে আনতে হবে। আমাদের তুলতে হবে না। পারফর্ম্যান্স ও আচরণের দিক থেকে তারা নিজেরাই নিজেদের তুলে আনছে।’
‘লিটন, মিরাজ ও শান্ত ওখানে ছিল। তাসকিন ও ফিজ ছিল জিমে। অ্যাটিচিউট, নিজেদের প্রস্তুত করা ও ড্রেসিংরুমের আচরণের দিক থেকে তারা এখন এগিয়ে এসেছে। পারফরম্যান্সের দিক থেকেও তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরের ধাপের নেতৃত্ব দিতে পারে।’
পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাকে নিয়ে বরাবরই বলা হয় ‘কড়া হেডমাস্টার’ বা এমন। হাথুরুসিংহে আসলে কী ভাবেন নিজের ব্যাপারে? লঙ্কান কোচ এমন প্রশ্নে তুলে এনেছন তার ছোটবেলাকেও।
তিনি বলেছেন, ‘মানুষ কী চিন্তা করি সেটা ভেবে লাভ নেই। আমার একটা শক্তির জায়গা হচ্ছে, আমি জানি কী চাই। আমি সেটার পেছনেই যাই যেটা আমি চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী নিজের ঠিক বিশ্বাসের ব্যাপারে। ছোটবেলা থেকেই এটা আমার শক্তির জায়গা।’
‘আমার বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীতে আর মা নার্স। শুরুতে আর্মি বাবার কঠোরতা দেখেছি, পরে নার্স মায়ের কোমলতা। আমার ধরন মনে হয় ওখানেই গড়ে উঠেছে। আমি মানুষের সঙ্গে সৎ। যেটা হয়, সেটাই বলি।’