Date: July 27, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / খেলাধুলা / সমস্যা দেখলেন, সমাধানের পথও দেখবেন ক্রীড়া মন্ত্রী

সমস্যা দেখলেন, সমাধানের পথও দেখবেন ক্রীড়া মন্ত্রী

February 08, 2024 10:27:31 AM   ক্রীড়া প্রতিবেদক
সমস্যা দেখলেন, সমাধানের পথও দেখবেন ক্রীড়া মন্ত্রী

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের অপেক্ষা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে আসবেন নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে অশংগ্রহণ করে খানিকটা বিলম্বে আসলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ততক্ষণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ফুটবল ফেডারেশন সহ ক্রীড়াঙ্গনের আরো অনেকেই জড়ো হয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠে।

মন্ত্রী এসে সরাসরি মাঠে পা দিয়েছেন। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার ও জানার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ব্যবহার করে ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। ফুটবল ফেডারেশন আগে থেকেই মাঠে পানি ছিটানোর পদ্ধতির সমালোচনা করে আসছিল। আজও সেটা নতুন মন্ত্রীর সামনে করেছে। গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান, কম্পিটিশন ম্যানেজার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে জোরালো দাবি জানিয়েছে বিদ্যমান পানি ছেটানোর পদ্ধতিকে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ আবার ফেডারেশনেক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এত বিলম্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করায়।

স্টেডিয়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিডিয়া বক্স। নতুন সংস্কারে বক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান। ইলেকট্রনিক ক্যামেরাম্যানদের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকার বিষয়টিও সাংবাদিকরা নতুন মন্ত্রীকে তুলে ধরেছেন। তখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-সংষ্কার কাজের দায়িত্ব পাওয়া পরামর্শকরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।

প্রায় এক ঘন্টা পরিদর্শন শেষে পাপন নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেছেন মিডিয়ার সামনে। নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, 'এখানে এসে দেখলাম মূলত দু’টি সমস্যা। একটি স্প্রিংলার (মাঠে পানি দেওয়ার মাধ্যম) আরেকটি মিডিয়া বক্স। সমস্যা টা বুঝলাম। সমস্যা আছে অস্বীকার করার পথ নেই। সমাধানের পথ আছে কিনা দেখব, সম্ভব হলে অবশ্যই করব। তবে খুব একটা অসম্ভব বলে মনে হয় না।'

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে। আড়াই বছর পর এসে ফেডারেশন-এনএসসি পারস্পরিক ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। তাই সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে চান না, 'কারো সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ কথা বলতে গেলে, এনএসসি না হয় কনসালটেন্ট না হয় ফেডারেশন কারো উপরে পড়বে। তাই ডকুমেন্ট না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা।'

বাফুফের দাবি স্প্রিংলার বদলে পপ-আপ সিস্টেমে পানি দেয়ার। এতে কোটি টাকা পুনরায় ব্যয় প্রয়োজন। এজন্য আবার নতুন অনুমোদন প্রয়োজন। তবে যেটাই হোক নতুন মন্ত্রী কালক্ষেপণ করতে চান না মোটেও, 'সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আর বিলম্ব করতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করা হবে । না হলে নেই, কারণ এটা নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের সংস্কার তাই অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়তো নয়।'

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্থাপনা নিয়ে ফেডারেশনগুলোর অভিযোগ ক্রীড়াঙ্গনে নিত্য-নৈমত্তিক বিষয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে বাফুফের যেমন অসন্তোষ অন্য ফেডারেশনগুলোরও প্রায় একই চিত্র। স্থাপনা তৈরিতে ফেডারেশন ও এনএসসি দূরত্ব ঘোচানোর প্রত্যয় নতুন মন্ত্রীর কন্ঠে, 'একেক স্থাপনার স্পেসিফিকেশন একেক রকম। প্রতি ফেডারেশনকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন স্থাপনা নির্মাণ, সংস্কার যেটাই হোক একটি ফাইল অ্যাপ্রæভ হওয়ার পর আর এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকা যাবে না।’

স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে পাপন বিসিবির সাবেক অফিস পরিদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান কার্যালয় ছিল। এই অফিস থেকে বাংলাদেশের টেস্ট-ওয়ানডে প্রাপ্তি সহ অনেক ইতিহাসের জন্ম। বিসিবির পুরনো অফিস ঘুরে দেখান ক্রীড়া সাংবাদিকরা। বিসিবির সাবেক কার্যালয় ক্রীড়া লেখক সমিতির নতুন অফিস।